Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচর আই ব্যাঙ্কের আরেক সাফল্য, মৃতের চোখে দেখতে পাচ্ছেন দুই জন
২৭ অক্টোবরঃ আই ব্যাঙ্ক প্রতিস্থাপনের পর শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরেক সাফল্য সূচিত হল। মঙ্গলবার চোখের পট্টি খোলা হলে দৃষ্টিহীন দুইজনই জানান, তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। এর মধ্যে একজন আবার কিশোরী। এক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। মহাপঞ্চমীর রাতে তিনি প্রয়াত হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁর ইচ্ছাপূরণে শিলচর মেডিক্যাল কলেজকে জানায়। দ্রুত তাঁরা চক্ষু সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন। পরদিনই আই ব্যাঙ্কে রেজিস্ট্রিকৃত দুই দৃষ্টিহীনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কুমারটুলিতে বোধনের সময় যখন দেবীর দৃষ্টিদানের আয়োজন চলছিল, আই ব্যাঙ্ক, সক্ষম এবং মারোয়াড়ি যুব মঞ্চ তখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল এক কিশোরী সহ দুইজনের চক্ষুদানের। সপ্তমীতে চক্ষু প্রতিস্থাপন করা হয়। অষ্টমীতে বেলুড় মঠ সহ বিভিন্ন স্থানে কুমারী পূজার সময় মেডিক্যাল কলেজ পূজা কমিটি দেবী হিসেবে বরণ করে সদ্য চোখ পাওয়া কুমারীকে। তাঁর হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়ার মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাকির হোসেন, ডা. সোমা পাল, ডা. পার্থপ্রতীম রায় এবং আই ব্যাঙ্কের কাউন্সেলর মিঠুন রায়।
মঙ্গলবার তাঁর চোখের পট্টি খোলা হয়। একই সঙ্গে পট্টি খোলা হয় আরেক গ্রহীতার। চোখ খোলার বিশেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া, উপাধ্যক্ষ ডা.ভাস্কর গুপ্ত, সুপার ডা. এ স্বামী প্রমুখ। দুইজনই জানান, চোখের সামনে আঙুল রাখলে তারা দেখতে পান। করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। চিকিতসা বিজ্ঞানে একেই চক্ষু প্রতিস্থাপনে সাফল্য রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাশাসক দুজনকেই গামোছা পরিয়ে উতসাহিত করেন। শুভেচ্ছা স্বরূপ কিশোরীর এক হাজার টাকা তুলে দেন অধ্যক্ষ ডা. বেজবরুয়া। সবাই এই চক্ষুদান সফল করাতে সক্ষম দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত এবং মারোয়াড়ি যুব মঞ্চের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আই ব্যাঙ্কের যেমন সক্ষম সক্রিয় ছিল, তেমনি চক্ষু সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মারোয়াড়ি যুব মঞ্চ। সবাই আশাবাদী, দুজনই বাকি জীবন পৃথিবীর আলো দেখেই বাঁচতে পারবেন।