Barak UpdatesHappenings
মেডিক্যালে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু
১৮ আগস্টঃ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৪ জনেরই চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি বলে জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর গুপ্ত৷ তাঁরা হলেন: তারাপুর শিববাড়ি রোডের রাজকুমার দাসপুরকায়স্থ, অম্বিকাপট্টির সুভাষচন্দ্র আচার্য, কনকপুরের ধরণীমোহন পাল ও রাতাবাড়ির বালিয়ার ফুলচান বিবি৷ পঞ্চম মৃতের নাম প্রদীপকুমার সিং৷ তাঁকে ১৩ আগস্ট মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ পরদিন থেকে ছিলেন আইসিইউতে৷ মঙ্গলবার ২টায় প্রাণ হারান ৫৫ বছর বয়সি প্রদীপবাবু৷
ভাস্কর গুপ্ত বলেন, এমন সময়ে রোগীদের আনা হচ্ছে, চিকিতসারই সুযোগ মেলে না৷ ৮৬ বছরের রাজকুমার দাসপুরকায়স্থকে সোমবার ৭টা ১৯ মিনিটে ভর্তি করা হয়েছিল৷ হার্ট ব্লক, কিডনির সমস্যা, হাঁপানির সঙ্গে করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত ছিলেন৷ রাত ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন৷ ৭৫ বছরের সুভাষচন্দ্র আচার্য সোমবার সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে মেডিক্যালে নেওয়া হয়৷ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি সেখানে ২৪ ঘণ্টাই বেঁচেছিলেন৷ মঙ্গলবার সকালে মারা যান৷ কনকপুরের ধরণীবাবুকে গ্রিনহিলস হসপিটাল থেকে মেডিক্যালে পাঠানো হয় সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে৷ কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৫৯ বছরের ধরণীবাবুকে করোনা এমন কাবু করে ফেলেছিল যে, মঙ্গলবার ভোরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ ৫২ বছরের ফুলচান বিবিকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছিল রবিবার রাত ১০টায়৷ তিনি মারা যান সোমবার বিকেল ৪টায়৷
ভাস্করবাবুর কথায়, মেডিক্যালে নেওয়ার সময়ে প্রত্যেকের অক্সিজেনের মাত্রা এত কম থাকে যে চিকিৎসায় সাড়া মেলে না৷ তাই করোনার উপসর্গ টের পেলেই তাঁর পরামর্শ, টেস্ট করিয়ে নেওয়া৷ সে ক্ষেত্রে পজিটিভ হলে দ্রুত কোভিড চিকিতসা শুরু করা যায়৷ করোনার ভয়ে বাড়িতে বসে থেকেই বিপদ বাড়ছে বলে সতর্ক করে দেন তিনি৷