Barak UpdatesSportsBreaking News

মিনারভাতে সুযোগ পেলেন কাছাড়ের ৫ ফুটবলার

৩০ জানুয়ারি : ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিভার সন্ধানে নেমেছে মিনারভা ফুটবল অ্যাকাডেমি। উত্তর পূর্ব ভারত থেকে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য তাঁদের একটি দল এই অঞ্চলে অবস্থান করছেন। শনিবার তিন সদস্যের একটি দল এসেছেন শিলচরে। শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমির মাঠে সারাদিন ধরে চলে বাছাই প্রক্রিয়া। শিলচর ও তার আশপাশ এলাকা থেকে ৮৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয় এতে। এই ৮৪ জন খেলোয়াড় থেকে তাঁরা ৫ জনকে বাছাই করে নিয়েছেন। সাতজনকে রেখেছেন ওয়েটিং লিস্টে।

মিনারভা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন আটজন কোচ। এরমধ্যে তিন কোচ অর্পণ চন্দ, নরেন্দ্র সিং ভাণ্ডারী ও হৃদয়রঞ্জন দাস এসেছেন শিলচরে। এখানে আসার আগে তাঁরা অরুণাচল প্রদেশ সহ আসামের বিভিন্ন জায়গায় ট্যালেন্ট হান্ট শিবির করেন। সেসব শিবির থেকে খেলোয়াড়ও বাছাই করেন তাঁরা। শিলচরে শিবির করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের ছিল না। এখানে প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে, সেটা তাঁদের কল্পনার বাইরে ছিল। শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমির কর্মকর্তাদের অনুরোধে শিলচরে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেয় মিনারভা।

অনূর্ধ্ব ৬ থেকে অনূর্ধ্ব ১০ পর্যন্ত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। এতে অংশ নেয় যে ৮৪ জন, তাদের মধ্যে আমড়াঘাটের কৃষ্ণপুর থেকে ২৯ জন, নাগাখাল ১২, বদরপুর ৪ , সিঙ্গেরবন্দ ৫ , শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমি ১৩, কুম্ভা ৩, জালালপুর ১ , শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমি ছাড়াও শিলচরের ১১, চলিতাকান্দি ৩, ডলু ৩ এবং চেংকুড়ি থেকে ৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মিনারভায় সুযোগ পায় রিজি থাইসং (অনূর্ধ্ব ৬) , লংতাম পোহলং (অনূর্ধ্ব ৭), রায়মন্দ পোহলং (অনূর্ধ্ব ৮), ভিকি সিন্দাই (অনূর্ধ্ব ৯) এবং রোহণ আহমেদ বড়ভুইয়া (অনূর্ধ্ব ৯)। এই পাঁচজনের মধ্যে প্রথম চারজন কৃষ্ণপুরের। শেষের জন এসেছেন জাতিঙ্গা থেকে। বার্থ সার্টিফিকেট , আধার কার্ড কিংবা শেষ দুই বছরের মার্কশিট , চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, আরটিপিসিআর টেস্ট (কোভিড) রিপোর্ট নিয়ে আগামী ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিনারভায় রিপোর্ট করতে হবে।

শিবির সম্পর্কে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে কোচ অর্পণ চন্দ বলেন, ‘ মিনারভায় আটজন কোচ রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলার। সবাই মিলে খেলোয়াড় গড়ার চেষ্টা করছি। এখানে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। এখানে এত প্রতিভা রয়েছে , তা আগে ভাবতে পারিনি। আসলে এখানে আমাদের কোনও প্রোগ্রাম ছিল না। অ্যাকাডেমির কর্তাদের অনুরোধে এখানে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা করা হয়। এসে ভালো লাগল’।

অ্যাকাডেমির মাঠে তিন কোচকে সহায়তা করেন থানজিক রংমাই, বাবু সিং, জয়কুমার সিং। অ্যাকাডেমির সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব শ্যামল দাস, অ্যাকাডেমির বরিষ্ঠ কর্মকর্তা শিথিল ধর, মৃণালকান্তি রায়, রতন সিংরা সারাদিন মাঠে ছিলেন। ছিলেন বাচ্চু দাস, গণেশ ভদ্রের মতো ব্যক্তিরাও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker