Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রিপেইড স্মার্ট মিটার : ১৫ মে নাগরিক মিছিল
ওয়েটুবরাক, ৭ মে : প্রিপেইড স্মার্ট মিটার জোর করে চাপিয়ে দিয়ে জনসাধারণকে লুন্ঠনের প্রতিবাদে আগামী ১৫ মে সোমবার নাগরিক মিছিলের আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কমিটি। শনিবার সংগঠনের উকিলপট্টি স্থিত কার্যালয়ে জেলা সভাপতি মন্মথ নাথের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় জেলা কমিটির সভা৷ সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শহরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনগুলিকে আন্দোলনে যুক্ত করা হবে। সংগঠনের সভাপতি মন্মথ নাথ জানান, গত ২০ এপ্রিল শিলচরের এপিডিসিএল’র জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও গত ২৫ এপ্ৰিল গুয়াহাটির বিজুলি ভবনের সামনেও একই দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিদ্যুৎ গ্ৰাহকরা। এতসবের পরও রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি গ্ৰাহকদের জোর করে প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনে বাধ্য করছে। এমনকি প্রিপেড ব্যবস্থায় যেতে গ্রহণে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের মোবাইলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি মূলক মেসেজ পাঠিয়ে প্রিপেড ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য করানো হচ্ছে। যা সম্পূৰ্ণরূপে গ্ৰাহক আইন বিরোধী পদক্ষেপ। এই ব্যবস্থা চালুর পর থেকেই জনগণ এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ মাশুল সংগ্রহের অভিযোগ করেছেন। অথচ এই অভিযোগ নিষ্পত্তি ক্ষমতা স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হচ্ছে না। তারা গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গুয়াহাটিতে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকদের উপর নেমে আসা এই সর্বনাশা আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।
প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের আসল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ব্যক্তিগতকরণ ঘটানো। ফলে ভবিষ্যতে অনেক গরীব সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারবে না। এছাড়া, গ্রাহকদের হয়রানি শোনার জন্য সরকারি কোনও বিভাগ বা ‘ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটারি কমিশন’ এর মতো কোনো সংস্থাও থাকবে না। সাধারণ বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের স্বাৰ্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১৫ মে শিলচরের নাগরিক মিছিলে যোগদান করতে বেলা সাড়ে এগারোটায় শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত হতে সবাইকে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। সভায় এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক অঞ্জন কুমার চন্দ, হানিফ আহমেদ বড়ভূঁইয়া, কনক পাল, খাদেজা বেগম লস্কর প্রমুখ।