Barak UpdatesHappeningsBreaking News

দীপায়নের হস্তক্ষেপ চাইল মাধ্যমিকে ফেল ছাত্ররা

ওয়েটুবরাক, ৭ সেপ্টেম্বর : আজ শিলচরের মনমোহন হাইস্কুল, নিবেদিতা হাইস্কুল, ছোটলাল শেঠ হাইস্কুল, গভর্নমেন্ট গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, কাছাড় হাইস্কুল, ঘরবরণ হাইস্কুলের অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰী এবং তাদের অভিভাবকরা শিলচরের বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ বিশেষ কাজে তিনি বাইরে থাকায় তাঁর সাথে দেখা হয়নি। তাঁরা শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্র বিধায়কের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেন। স্মারকপত্র জমা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিধায়কের প্রতিনিধিকে বলে, বিনা পরীক্ষায় বেশিরভাগ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের স্কুলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাস করিয়ে দেওয়া হলেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে ?

তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট ফেল করার কারণ জানতে চাইলে তাদের বলা হয়, সরকারের গাইডলাইন মানতে গিয়েই তাদের ফেল করাতে হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ, বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও একই পদ্ধতিতে ১০০ শতাংশ পাস করেছে৷ তাহলে সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করাতেই কি তাদের এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল? অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীরা এও জানায়, তাদের ফলাফলকে পুনঃবিবেচনা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকপত্র প্রদান সহ জেলাশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, স্কুল সমূহের পরিদর্শক কার্যালয়ে বিক্ষোভ, পিকেটিং ইত্যাদি ধারাবাহিক আন্দোলন করে এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে শিলচরের বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছে।

তারা বলে, প্রত্যেক অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর ফলাফলকে পুনঃবিবেচনা করতে হবে৷ কারণ ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের মধ্যে অনেকের পাস করার যোগ্যতা রয়েছে। তাই তাদের দাবি হচ্ছে যে নিজ নিজ স্কুলেই ছাত্র ছাত্রীদের দ্রুত মূল্যায়ন করে উত্তীৰ্ণ হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা বিভাগ যে ভাবে ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে নিতে চাইছে, তা যুক্তিসম্মত নয়। কারণ দু’ধরনের নিয়ম একই ধরনের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য করা উচিত হবে না। যেহেতু বিশেষ মূল্যায়ন পদ্ধতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রদান করা নম্বরের ভিত্তিতে এবছর বিশেষ কারণে ছাত্র ছাত্রীদের পাস করানো হয়েছে৷ তাই ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পুনঃমূল্যায়ন স্কুল কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা যাচাই অনলাইন পরীক্ষায় না এসাইনমেন্টের ভিত্তিতে হবে সে সিদ্ধান্ত স্কুলকে নিতে দায়িত্ব দিতে।

তারা বলে যে বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলে তার রেজাল্ট ঘোষণা করতে দেরি হওয়া স্বাভাবিক সে ক্ষেত্রে সে পরীক্ষায় পাশ করে তারা ভর্তির সুযোগ পাবে না এবং তাদের একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পূর্বেই মেট্ৰিক ও হায়ার সেকেন্ডারির বিকল্প মূল্যায়নে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের পুনঃমূল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। ছাত্র- ছাত্রীরা আশা করছে যে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অতি দ্রুত মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে শিলচরের বিধায়ক সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker