NE UpdatesHappeningsBreaking News
দুই এনকাউন্টারে আসামে মৃত ১, জখম ২
ওয়েটুবরাক, ১১ এপ্রিল : চব্বিশ ঘটনায় অসমে অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশের দুটি ‘এনকাউন্টার’ হয়েছে। পুলিশের দাবি, পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা গুলি চালাতে বাধ্য হন। অভিযুক্ত গরু পাচারকারী নাসির আলি বিলাসীপাড়ার সাপটগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। জখম হয় সাকান আলি নামে আরও একজন৷ ডবকার শালবাগানে জখম হয়েছে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত সামসুল হক।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল পৌনে সাতটায় সাপটগ্রামে পুলিশ একটি গাড়িকে থামার সঙ্কেত দিলে চালক গতি বাড়িয়ে এগিয়ে চলে। পুলিশের গাড়িও তাদের পিছু নেয়। খুব কাছাকাছি যখন দুই গাড়ি, তখনই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া শুরু হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশও গুলি চালায়। তাতেই নাসির আলির মৃত্যু হয়। গাড়িটিতে মোট চারজন ছিল। সাকান আলি গুলিবিদ্ধ হয়ে ধুবড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন পালিয়ে যায়। পরে শহিদুল আলি নামে এক যুবক আত্মসমর্পণ করে। গুলিতে তাদের গাড়িটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে গাড়ির ভেতরে দুটি গরু পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি গরু গাড়িতেই প্রাণ হারায়। গুলি লেগেছে অন্য গরুর গায়েও। তাকে পশু হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তাঁদের দাবি, ১৫টি নিষিদ্ধ কফসিরাপের বোতলও পাওয়া গিয়েছে গাড়িতে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। পালিয়ে যাওয়া যুবকের সন্ধানে অভিযান চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। তার সঙ্গেও একটি পিস্তল রয়েছে। বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে তারা গরুদুটি নিয়ে রওয়ানা হয়েছিল।
অন্যদিকে, সামসুল হক শনিবার ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়েছিল। জেরায় সে পুলিশকে জানায়, শালবাগানের বাড়িতে লুকনো রয়েছে তার আগ্নেয়াস্ত্রটি। পুলিশ তাকে নিয়ে সেটি আনতে গেলে সে এক কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে৷ পুলিশ গুলি চালিয়ে তাকে আটকায়৷ সামসুল এখন নগাঁও হাসপাতালে ভর্তি৷