NE UpdatesHappeningsBreaking News
ত্রিপুরায় সংবাদমাধ্যমের দুই অফিসে হামলা, আগুন
ওয়েটুবরাক, ৯ সেপ্টেম্বর : বুধবার ত্রিপুরায় একাধিক সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির সেখানকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র সঙ্গে সিপিএমের সংঘর্ষেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। গোটা ঘটনায় বিপ্লব দেবের সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সংবাদমাধ্যমের অফিসেও যান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সুস্মিতা দেব৷
সিপিএমের মুখপত্র ডেইলি দেশের কথা-র সম্পাদক সমীর পাল পুলিশে এজাহার দিয়ে জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ বিজেপির মিছিল থেকে একদল দুষ্কৃতী তাদের দফতরে ঢোকার চেষ্টা করে৷ কলাপসেবল গেট বন্ধ থাকায় পারেনি৷ পরে প্রচুর পরিমাণে ঢিল ছোঁড়ে৷ তাতে প্রায় সব জানালার কাঁচ ভেঙে যায়৷ ঢিল পড়ে এক সংবাদকর্মী জখম হন৷ অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷
এ দিন একের পর এক সিপিএমের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়, হয় অগ্নিসংযোগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। দাউ দাউ করে জ্বলছে ৭-৮টি পার্টি অফিস। পুড়ছে একের পর এক গাড়ি। প্রতিবাদে সরব সিপিএম নেতৃত্ব। এদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, জনরোষে এসব হয়েছে। সিপিএমের পার্টি অফিস থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
অন্যদিকে এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করে৷ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তিরিশের দশকের জার্মানির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। যে সময় গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও ছিল না। সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘হিংসা আর গুণ্ডামি বিজেপির সঙ্গে এত মিশে গিয়েছে যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপরেও নৃশংসভাবে আক্রমণ নেমে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের ঐক্যবদ্ধতার পাশে আমরা থাকব।’
বুধবার বিকেলে উদয়পুরে সিপিএমের মিছিল থেকে অশান্তির শুরু। বিজেপির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে বাম নেতা-কর্মীদের। অভিযোগ, সিপিএমের কার্যালয় থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। এই হামলায় এক বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জায়গায়-জায়গায় বামেদের উপর হামলা হয়। দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷