NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির আয়োজনে শিলচরে বেগম রোকেয়া চর্চা
ওয়েটুবরাক, ৯ ডিসেম্বর : নারী জাগরণের শাশ্বত শিল্পী বেগম রোকেয়ার ১৪২তম জন্মদিন এবং ৯০তম মৃত্যুদিনকে স্মরণ করে নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কাছাড় জেলার উদ্যোগে স্থানীয় মালুগ্রামস্থিত শহিদ ভবনে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনার বিষয়বস্তু : রোকেয়া রচিত কল্পকাহিনী ‘সুলতানার স্বপ্ন’৷
তারা নন্দী মজুমদার কান্ডারীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনার দরজা খুলে দেওয়ার পর একে এগিয়ে নিয়ে যান ড. স্বপ্না ভট্টাচার্য এবং স্বর্ণালী ঘোষ৷ আলোচনার শুরুতে স্বাগত ভাষন দেন রত্না দেব৷ তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে বাঙালি নারীবাদী বেগম রোকেয়ার জীবনের কয়েকটা দিক সুন্দরভাবে তুলে ধরেন৷ জানান, এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহন করেও দাদা ইব্রাহিম বোনের পড়াশোনার ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন৷ পরবর্তী জীবনে স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের আন্তরিক অনুপ্রেরনায় রোকেয়ার সাহিত্য চর্চার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়৷
শিশুশিল্পী শ্রীমতী শারিকা খান দুটো কবিতা আবৃত্তি করে সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়৷ দেবশ্রী দত্ত, প্রতিমা দাস প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে একে জীবন্ত করে তুলতে সহায়তা করেন৷ মুখ্য আলোচকত্রয়ীর বেগম রোকেয়ার সাহিত্য সৃষ্টিতে সেই সময়ের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুৎসিত দিকগুলো আলোচনায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে৷
তাঁরা বলেন, রক্ষণশীল সমাজের বিভিন্ন রকমের শোষণ যা মনের ভেতরে পুঞ্জীভূত হয়েছিলো তারই বহিঃপ্রকাশ তাঁর বিভিন্ন সৃষ্টিতে প্রকাশ পেয়েছে৷ তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হয় ১৯০২ সালে ‘পিপাসা’ নামে একটি বাংলা গদ্য রচনার মধ্যে দিয়ে। আজ থেকে একশত বছরেরও আগে রোকেয়ার রচনায় বিজ্ঞানের বিভিন্নদিক প্রকাশ পাওয়া এক অভাবনীয় ব্যাপার বলে স্বীকার করতে হয়৷ বেগম রোকেয়া তাঁর নিজের সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে মেয়েদের উন্নতি প্রকল্পে মেয়েদের সরকারি বিদ্যালয় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল গড়েন। নারীর শিক্ষাগ্রহণ, নারীর বাইরে চলাফেরা এবং কাজের অধিকার, স্বাধীন চিন্তা-চেতনার অধিকার, এই বিষয়গুলো যে নারীর মুক্তির সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সেসব কথা তাঁর প্রকাশিত সাহিত্যের মাধ্যমে সারা জীবন বলে গেছেন। আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীমতী আরাধিতা মিত্র৷