অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত প্রয়াত

ওয়েটুবরাক, ১৬ জুনঃ অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের জীবনাবসান হল। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন স্বাতীলেখা। বিগত ২৫ দিন ধরে ছিলেন কলকাতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আজ বুধবার দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মঞ্চ এবং পর্দা দুই মাধ্যমেই তাঁর অভিনয় ছিল অত্যন্ত সাবলীল। সাতের দশকে এলাহাবাদে নাট্যমঞ্চে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী স্বাতীলেখা কলকাতায় আসার পর ১৯৭৮ সালে যোগ দেন নাট্যদল নান্দীকারে। সে থেকেই আলাপ ও প্রেম হয় নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে। তার পরে বিয়ে এবং সংসার। ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তাঁর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্তও একই ভাবে নাট্য ও পর্দার জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। মঞ্চে ‘শঙ্খপুরের সুকন্যা’, ‘মাধবী’, ‘পাতা ঝরে যায়’ ইত্যাদিতে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন স্বাতীলেখা। নান্দীকার-এর বেশ কিছু নাটকের সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। পিয়ানো এবং বেহালা বাজানোয় পারদর্শিতা ছিল তাঁর।

সত্যজিত রায়ের পরিচালনায় ‘ঘরে বাইরে’-তে বিমলার চরিত্রে তাঁর অভিনয় অবিস্মরণীয়। নাট্যমঞ্চে পাঞ্চজন্য, বিপন্নতা, নাচনী, অযত্নবাস, পাতা ঝরে যায়-এর মতো বহু নাটকে তাঁর অভিনয় উল্লেখযোগ্য। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত বেলাশুরু এবং ধর্মযুদ্ধ ছবি দু’টি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।