Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story
শিলচরের যুবক আরবে গিয়ে করোনায় আক্রান্তSilchar youth gets corona infected in Saudi Arabia
২৮ এপ্রিল: কবে যে বাড়ি ফিরবেন! সদ্যোজাত সন্তানের মুখ দেখবেন! দিনগোণা শুরু হয়েছিল শিলচরের তারাপুর শিববাড়ি রোডের অয়নদীপ চক্রবর্তীর৷ মার্চে ছেলের জন্মের পরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে নিয়েছিলেন, মে-তে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন৷
কিন্তু কে জানত, তাঁর অপেক্ষা দীর্ঘতর করতে ঠিক তখনই মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস! সৌদি আরবে থেকে চিন বা ইতালির সংক্রমণের কথা শুনে ভাবতেও পারেননি, রোগটা তাকেও একদিন বিব্রত করে তুলবে! শুধু কি আর ছেলের মুখ দেখা পিছিয়ে দিল? তাকেও আক্রান্ত করল৷ শুক্রবার টেস্ট হয় আরবের আবকুইকে কর্মরত নেসমা টাটা প্রজেক্টের প্রত্যেক কর্মীর৷ ৪৫ জনের মধ্যে ২১ জনেরই পজিটিভ ধরা পড়ে৷ এর পরই তাদের জুবেলে নিয়ে যাওয়া হয়, আক্রান্তদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পে৷ অনেকের দেহেই কোনও পূর্ব লক্ষণ ছিল না৷ অয়নদীপেরও একদিন শুধু শরীরে ব্যথা করেছিল৷ এখন সে সমস্যা নেই৷ তবু ১৪দিন ক্যাম্পে কাটাতে হবে৷ পরে ফের পরীক্ষা হবে৷ তখন নেগেটিভ হলে বেরিয়ে আসা৷ নইলে আরও ১৪দিন৷
বললেন, ‘নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবছি না৷ আশা করি, দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠব৷ কিন্তু এখন একটাই ভাবনা, কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হবো!’
তারাপুর শিববাড়ি রোডে মূল বাড়ি হলেও নেসমা টাটা প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার অয়নদীপকে এখন এসে উঠতে হবে মেহেরপুরে৷ সেখানেই তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সুমিতা চক্রবর্তী ও তাদের সদ্যোজাত৷
৩৭ বছরের অয়নদীপ শিলচর কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তনী৷ সেখানে পড়েছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত৷ মাধ্যমিক মেঘালয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে৷ এরপর ভর্তি হন শিলচর পলিটেকনিকে৷ পাশ করেই চাকরিতে যোগদান৷ পাঁচ বছর হয় ভারতীয় কোম্পানি তাকে আরবে পাঠিয়েছে৷ স্ত্রী সুমিতাদেবীও থেকে গিয়েছেন এক বছর৷ দুজনেই বললেন, ‘ভাল জায়গা৷ স্বাচ্ছন্দ্য আছে৷’ কিন্তু একমাস বয়সের ছেলের কথা ভেবে এখন অয়নদীপের শুধুই সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার প্রতীক্ষা! প্রতীক্ষায় সুমিতাদেবীও৷