Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে শিলচরের মেয়ের ভুপালে আত্মহত্যাSilchar girl, an engineering student at Bhopal commits suicide there
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ তাঁর কামরা থেকে স্যুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। তাতে লিখে গিয়েছে, এই জীবন নিয়ে সে বড় বিতৃ্ষ্ণায়। আর বাঁচতে চায় না। তাই বুঝেশুনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার রাতের ঘটনা। রবিবার শিলচরের বাড়িতে খবর আসে। এরপরই মুম্বাই থেকে তাঁর খুড়তুতো দাদা আদিত্য দে ভুপাল ছুটে গিয়েছেন। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ নিয়ে তিনি রওয়ানা হয়েছেন। রাতে শিলচরে পৌঁছাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শিলচরের কৃতী ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে শহর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। ভুপাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপিএ-র গার্লস হোস্টেলে থাকত পিয়ালী। আত্মহত্যার জন্য সেখানেই সে আরগন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নেয়। শনিবার রাতে ওই সিলিন্ডারের নোজল খুলে মুখে পুরে রাখে। তাতে আরগন গ্যাস শরীরে ঢুকে পড়ে।
সেখানকার ওসি এলডি মিশ্র জানিয়েছেন, তিনি গার্লস হোস্টেলের অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বিকেল চারটা পর্যন্ত তাঁরা তাঁকে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিকই দেখেছেন। পাশের কামরার ছাত্রী রাত ১১টা নাগাদ বাজার থেকে হোস্টেলে ফেরে। পিয়ালীকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ পায়নি। অন্য মেয়েরাও তার কামরার সামনে জড়ো হয়। পরে তারা ভ্যান্টিলেটর দিয়ে টর্চ মেরে দেখে, বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে সে। দ্রুত তারা ওয়ার্ডেনকে খবর দেয়। দরজা ভেঙে তাকে বের করে হোস্টেলের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বিষাক্ত আরগন গ্যাস শরীরের ভেতরে গিয়ে ফুসফুসের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এই গ্যাস দালানবাড়ি নির্মাণ এবং লোহা কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়। বেশ পরিকল্পনা করেই যে সে আত্মহত্যার দিকে এগিয়েছিল, তা ২৩ আগস্ট গ্যাস সিলিন্ডার অনলাইনে বুক করা থেকেই স্পষ্ট। নোজল ও পাইপ বাজার থেকে কিনে আনে। তার কামরায় ওইসব কেনার রশিদ পাওয়া গিয়েছে।
ওসি স্যুইসাইড নোটের কথা উল্লেখ করে বলেন, পিয়ালী তাঁর জীবন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে দিতেই লিখে গিয়েছে।