Barak UpdatesBreaking News
গাড়িচালকের বৈধতা খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ জেলাশাসকেরPolice still unable to trace the tripper which killed Molin Sharma, safety issues discussed in meeting with SP
৩১ জুলাই : আলোচনা-সমালোচনা, প্রস্তাব মূলত এসবের মধ্যেই থমকে রয়ে গেল ট্রাফিক এডভাইজরি বোর্ডের মিটিং। যদিও কিছু প্রস্তাবকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি এক মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে লাইসেন্সের বৈধতা খতিয়ে দেখা, গাড়ি চালকের পারদর্শিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানা ইত্যাদি।
সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মলিন শর্মার মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের ওপরে আমজনতা যে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন, বুধবারের সভা তারই প্রতিফলন। তবে মলিন শর্মাকে পিষে গেছে যে ট্রিপার, তার খোঁজ বের করতে আজ পর্যন্ত ব্যর্থ পুলিশ। মুখে নানা আশ্বাস দিলেও তিনদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও নিজেদের পারদর্শিতা দেখতে পারেনি বিভাগ। জবাব ছিল না জেলাশাসকের কাছেও।
ডিসি লায়া মাদ্দুরি, পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি দেবমোহন্ত, এএসপি গৌরব আগরওয়াল, ট্রাফিক ইনচার্জ শান্তনু দাস সহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ দিনের সভায়। ডিসি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পূর্ত, পরিবহণ, ট্রাফিক, পুরসভা সব বিভাগের প্রতিনিধিদের কড়া সুরে নির্দেশ দেন। সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন বিভাগীয় আধিকারিকদের।
তবে কোনও দুর্ঘটনাকে সামনে রেখে এ সব নির্দেশ কোনও নতুন ব্যাপার নয়। যদিও সম্মিলিত আওয়াজ এবার ছিল জোরদার। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ হিসেবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, জানিগঞ্জের জবরদখল মুক্ত করার বিষয় সামনে এলেই প্রশাসনের অক্ষমতা ও ব্যর্থতার চেহারা ভেসে ওঠে। এতে স্বস্তি পান তথাকথিত বহু ব্যবসায়ী ও বহু বুদ্ধিজীবী। অনেক যুক্তি তুলে ধরেন। যাই হোক, এ সব তো চলছে, চলবে। এ বার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কড়া দাওয়াই কীভাবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নতুন রূপরেখা তৈরি করবে, দেখার বিষয় এটাই।