Barak UpdatesHappenings
১০-এ পারেনি কং, ৬ আসন নিয়েই করিমগঞ্জে জেলা পরিষদ গড়ল বিজেপিNumber game: BJP forms Zila Parishad with 6 seats, whereas Congress sat on opposition with 10
৭ নভেম্বরঃ জয়রাম রমেশ, মুকুল ওয়াসনিকের মত কংগ্রেস হেভিওয়েটরা যখন বরাক সফর করছেন, তখনই করিমগঞ্জে একাংশ কংগ্রেসি জেলা পরিষদ গঠনে গোপনে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ সদস্যের করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে কংগ্রেস ১০টি আসন জেতে। এআইইউডিএফ পায় আরও ২টি। কিন্তু ৬ আসন জিতে বাজিমাত করল গেরুয়া বাহিনী। ১০-৯ ভোটে বৃহস্পতিবার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বিজেপি সমর্থিত ‘নির্দল’ আশিস নাথ। সহসভাপতি চাঁদখিরা আসনের বিজেপি সদস্যা বিমলা রুদ্রপাল।
৯ মাস আগে একইভাবে গোপন ব্যালটে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়। সে-বার কংগ্রেস-বিজেপি উভয়ে ১০টি ভোট পেয়েছিল। লটারির মাধ্যমে টাই ভেঙে কংগ্রেসকে জেলা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি টাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেলে কংগ্রেসি পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার নতুন পরিষদ গঠনের জন্য সভা ডাকেন জেলাশাসক আনবামুথান এম। এ দিন এক এআইইউডিএফ সদস্য অনুপস্থিত থাকেন। এতেই কংগ্রেস ১০ থেকে ৯-এ নেমে যায়।
এর পরই আনন্দ আর উল্লাসে গা ভাসিয়ে দেয় করিমগঞ্জের শ্যামাপ্রসাদ স্মৃতি ভবন। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সহ-সভানেত্রীকে নিয়ে বিশাল মিছিল ছুটে আসে দলের সদর কার্যালয়ে । জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, এআইডিসির চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, প্রদেশ বিজেপির উপ সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃপানাথ মালা, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, বিধায়ক বিজয় মালাকার সহ দলের নেতারা তাঁদের স্বাগত জানান । সংবর্ধনা সভায় জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ দখল করা বিজেপির স্বপ্ন ছিল। সাংসদ কৃপানাথ মালা, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের প্রচেষ্টায় সার্থক হয়েছে । এখন থেকে গ্রাম করিমগঞ্জের আমূল উন্নয়ন হবে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি । পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল তাঁর বক্তব্যে জয়ের কৃতিত্ব দলীয় কর্মীদেরই দেন। বলেন, বিজেপি দল টিম ওয়ার্ক করে বলেই এই জয় সম্ভব হয়েছে । তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কংগ্রেস এমন একজনকে সভানেত্রী প্রার্থী করেছিল যার জন্য কংগ্রেসেরই কয়েকজন বিদ্রোহ করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন ।
সাংসদ কৃপানাথ মালা বলেন, কংগ্রেস করিমগঞ্জ জেলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । এখন থেকে গ্রামীন উন্নয়নের গতি এতটাই তীব্র হবে যে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবেন । তাই দলীয় কর্মীদের তিনি জনতার জন্য কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি । রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার বলেন, বিজেপির স্বপ্ন যেমন সার্থক হয়েছে তেমনি আশিস নাথের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টাও সফল হয়েছে । এখন সবাই মিলে কাজ করতে হবে । নবনির্বাচিত সভাপতি আশিস নাথ তাঁর ভাষণে বিজেপি দল এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । জেলা পরিষদের ২০টি কেন্দ্রে সমহারে যাতে উন্নয়ন ঘটে সেই চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ।