India & World UpdatesHappeningsBreaking News
Jyotiraditya leaves Congress, 6 ministers & 19 MLA submits resignationকংগ্রেস ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য, ইস্তফা পাঠালেন ৬ মন্ত্রী সহ ১৯ বিধায়কও
১০ মার্চ : শেষমেশ কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের পরপরই বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিলেন ৬ মন্ত্রী সহ ১৯ বিধায়ক। ফলে কমলনাথ সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এই পদত্যাগী বিধায়করা প্রত্যেকেই বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। বিপরীতে দলবিরোধী কাজের অপরাধে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অবিলম্বে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন মধ্যপ্রদেশের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেখানেই তিনি লিখেছেন, ‘১৮ বছর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার পর এখন সম্পর্ক ছিন্ন করার সময় হয়েছে।’ এ বার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? সেই প্রশ্নে আপাতত নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মোদির সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন বলেও জানা গেছে। সেইসময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সূত্রের খবর, পদ্ম প্রতীকে রাজ্যসভার টিকিট চূড়ান্ত হলেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন প্রয়াত মাধবরাও সিন্ধিয়ার পুত্র।
এ দিকে, এ নিয়ে সংকটে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। কংগ্রেস শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিবাদকে হাতিয়ার করে গো-বলয়ের অন্যতম বৃহত্ রাজ্যের ক্ষমতা দখলই এখন গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ। সোমবার রাতে বিজেপি বিধায়কদের সবাইকে রাখা হয় ভোপালে। পোড়খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও কৌশলে তাঁর চাল চেলেছেন। মধ্যপ্রদেশের ২০ মন্ত্রী সোমবার রাতেই ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করে বাজিমাতের চেষ্টায় কমলনাথ। গত ২৪ ঘন্টায় মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে মহানাটক ঘটে চলেছে। প্রকাশ্যে কংগ্রেস শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল।
এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সোমবারই দিল্লিতে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। রাতেই তড়িঘড়ি ফেরেন ভোপালে। রাতেই মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মন্ত্রিরা একে একে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেন। বৈঠকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে কমলনাথ বিজেপির ক্ষমতা দখলের রাজনীতিকে দায়ী করেন। রাতে বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘মাফিয়াদের সহযোগিতায় বিজেপি সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। ওদের সফল হতে দেব না। এই সরকার পাঁচ বছরই চলবে।’