Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বেতুকান্দিতে স্লুইস গেট মেরামতির কাজে গাফিলতি দেখে জল্লি রেগে অগ্নিশর্মাDC Jalli rains anger to see negligence in repairing work of sluice gate at Bethukandi
ওয়েটুবরাক, ২৯ জুন : মহিষাবিলের জল বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে গিয়েই যত বিপত্তি বাঁধে এ বার৷ ভাঙা স্লুইস গেট মেরামত হয়নি বলে একাংশ এলাকাবাসী বেতুকান্দিতে বাঁধ কেটে জল বেরনোর রাস্তা করেছিলেন৷ আর ওই রাস্তা ধরেই বরাক নদী শিলচর শহরে ঢুকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বস্বান্ত করে৷ পরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধের জল ঢোকা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে জলসম্পদ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
বাঁধ কাটার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের হুঁশিয়ারির সঙ্গে মহিষাবিলের জল বের করার জন্য স্লুইসগেট মেরামতের জন্যও সেচ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ জলসম্পদ বিভাগ আপাতত জিওব্যাগে বালি-মাটি ঢুকিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করে চলেছেন৷ এই কাজের গুণমান এবং স্থায়িত্ব নিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ শহরের বিভিন্ন ব্যক্তি-সংগঠন প্রশ্ন তুললেও জেলাশাসক কীর্তি জল্লি তাদের কাজে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেন৷
Video Credit: Hanif Barbhuiya
তবে জেলাশাসক জলসেচ বিভাগের স্লুইস গেটের কাজে গাফিলতি দেখে প্রচণ্ড ক্ষেপে যান৷ বুধবার গিয়ে দেখেন, গেটের কাজ করছেন এক-দুইজন শ্রমিক৷ বিভাগীয় কেউ সেখানে উপস্থিত নেই৷ পরে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপক গোস্বামীকে ডেকে আনা হয়৷ তিনি গিয়ে “কাজ ঠিকঠাক চলছে” বলে দাবি করতেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন জেলাশাসক জল্লি৷ ঝাঁঝালো গলায় শুনিয়ে দেন, “তোমাকে আমি চাকরি থেকে সাসপেন্ড করে দেবো৷ একেবারে জেলে পুরে দেবো৷ তোমার জন্যই শহরের লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যাক্রান্ত৷” নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জেলাশাসক অতিরিক্ত শ্রমিককে কাজে লাগাতে বাধ্য করেন৷ যতক্ষণ সেখানে ছিলেন, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে লাগাতার ভর্ৎসনা করেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, এই স্লুইস গেট মেরামতির জন্য বছর সাতেক আগেই অর্থ মঞ্জুর হয়েছিল৷ রহস্যজনক কারণে সেই কাজ কিছুটা এগিয়েও শেষ হয়নি৷ এর দরুন বৃষ্টির দিনে জমাজলে ভুগছিলেন মহিষাবিলের আশেপাশের মানুষ৷ চাষবাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷
এ দিকে, জিওব্যাগে বালি-মাটি ফেলে আপাতত জল ঢোকা ঠেকানোর পর এখানে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এরপর এমন বাঁধ তৈরি হবে যে, আর জল ঢুকবে না কোনওকালে৷
প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতি দেখভালের জন্য জয়ন্তকেই কাছাড় ও করিমগঞ্জের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷