Barak UpdatesHappeningsBreaking News

বরাক আর পিছিয়ে থাকবে না, ‘অনেস্ট কমিটমেন্ট’ সোনোয়ালের
CM Sonowal inaugurates 5 police stations & Bio-diversity hub

পাঁচ থানার উদ্বোধন, চালু হল বায়ো ডাইভার্সিটি পার্কও

১০ জানুয়ারিঃ অসম সরকারের মৈত্রী প্রকল্পের অধীনে ৭৩টি থানাকে উন্নতমানের রূপ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৪টি আগেই উদ্বোধন হয়েছে৷ রবিবার উদ্বোধন হল বরাক উপত্যকার পাঁচটি থানা৷ উধারবন্দ থানায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ডিজিটালি উদ্বোধন করেন জয়পুর থানাও৷ ধলাইয়ে গিয়ে একই সঙ্গে উদ্বোধন করেন বদরপুর এবং হাইলাকান্দি থানা।

মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল ঘোষণা করেন, শুধু ৭৩টিই নয়, আগামীতে রাজ্যের প্রত্যেকটি থানা মৈত্রী প্রকল্পের অধীনে নতুন রূপে সেজে উঠবে।

এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, পুলিশপ্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত, সাংসদ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, মিহির কান্তি সোম, কিশোর নাথ,  রাজদীপ গোয়ালা, অমরচাঁদ জৈন, ডিআইজি দিলীপকুমার দে, জেলাশাসক কীর্তি জল্লি ও পুলিশ সুপার বিএল মিনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন দেখেছিলেন, সারাদেশের পুলিশ স্মার্ট হবে৷ প্রযুক্তিগতভাবে তাদের উন্নত করা হবে। তাঁর স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তব হতে শুরু করেছে।”

সোনোয়ালের কথায়, “আমরা প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছি, বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। অতীতে কংগ্রেস সরকার এই এলাকাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্ধকারে রেখেছে। ভালো রাস্তা থেকে শুরু করে কোনও প্রকল্প বরাক উপত্যকায় আসতে দেওয়া হয়নি। অথচ গত সাড়ে চার বছরে উপত্যকা বিভিন্ন দিক থেকে দেশের যে কোনও উন্নত এলাকার সমকক্ষ হয়ে উঠতে পেরেছে।”

তাঁর ‘অনেস্ট কমিটমেন্ট’, বরাক আর পিছিয়ে থাকবে না৷

বরাক উপত্যকার উন্নতি নিয়ে সরকারের প্রকল্পের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বরাক নদীকে জলপথের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, এখানে লজিস্টিক পার্ক বানানো হবে, এলাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি হবে এবং এখানে উৎপাদিত সামগ্রী বিদেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা শুধু মুখে কথা বলে মানুষের বাহবা কুড়োই না, কাজের মাধ্যমে জনগণকে তাদের প্রাপ্যটুকু ফিরিয়ে দিই। আজকের প্রজন্ম অনেক স্মার্ট, তারা নিজের চোখে যেটা দেখে সেটাই বিশ্বাস করে। আমরা গত সাড়ে চার বছরে দুই উপত্যকার যুব সমাজের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছি।”
ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেন, “আমরা চাই রাজ্যের প্রত্যেক থানাকে উন্নতমানের রূপ দিয়ে ই-কানেক্টের মাধ্যমে সেগুলোকে একসূত্রে জুড়ে দিতে। আমি বা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নিজে কার্যালয়ে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেক থানার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারব। ভারতবর্ষে এখনও কোনও রাজ্যে এমন ব্যবস্থা নেই। অতীতে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কথা হয়েছে তবে কোনও সরকার এতটা কঠোর মনোভাব নিয়ে সেগুলো দমনের চেষ্টা করেনি।”

ডিজিপির দাবি, ২০১৬ সালের আগের পাঁচ বছরে রাজ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিভিন্ন ঘটনায় তিনশোর বেশি ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, অথচ গত সাড়ে চার বছরে এই সংখ্যা শূন্য। তাঁর বক্তব্য, এটা একটা রেকর্ড যা গিনেজ বুকে স্থান পাওয়ার যোগ্য। এপিএসসি হোক বা পুলিশের পরীক্ষা, যেখানে দুর্নীতি ধরা পড়েছে একেবারে উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে এসব কাজে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি রোধ করতে পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা এমন কাজ করলে পুলিশের সাহস বাড়ে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। রাজ্যের পুলিশকে স্মার্ট করে তুলতে যত টাকার প্রয়োজন ততটাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। শুধু থানাগুলো বানানো নয়, পরবর্তীতে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা হয়েছে।

এদিন কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার বানোয়ার লাল মিনা অনুষ্ঠানে বাংলায় স্বাগত ভাষণ রাখেন। ধলাইয়ে এ দিন বায়ো-ডাইভারসিটি পার্কেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker