India & World UpdatesBreaking News
দুস্থদের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজCentre announces ₹1.7 trillion package for migrant workers, poor
শিলচর, ২৬ মার্চ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা দেশ লকডাউন। যদিও জরুরি পরিষেবা রয়েছে এর আওতার বাইরে। কিন্তু যাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তাঁদের কী? যাঁরা লকডাউন বা জরুরি পরিষেবা, এর মানেও হয়তো ভালোভাবে বোঝেন না। দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগাড়ের জন্যই তো তাঁদের রোজকার লড়াই। সেই শ্রমজীবী, দিমজুরদের ক্ষুধার জ্বালা মিটবে কেমন করে? কীভাবে হবে তাঁদের পরিবারের ন্যূনতম প্রতিপালন?
এসব প্রশ্ন ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরই বিভিন্ন মহলে দানা বেঁধেছিল। একে তো করোনা, তার উপর অভাব। শঙ্কার পাহাড় ছিল দিনমজুরদের মনে। তবে বৃস্পতিবার সরকারের এক ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা লোকেরা।
এ দিন ‘ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’র অন্তর্গত দেশের ৮০ কোটি মানুষকে মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল ও গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাছাড়া, পরিবার হিসেবে এক কেজি করে ডালও দেওয়া হবে। আগামী তিনমাস এই সুবিধা পাবেন তাঁরা। বৃহস্পতি বার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বর্তমানে এই যোজনার অন্তর্গত মাসে আগে থেকেই ৫ কেজি করে চাল ও গম মাথাপিছু করে পাচ্ছেন গরিবরা। করোনা সঙ্কটে এবারে এই সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দ্বিগুণ করে দেওয়া হল সরকারের তরফে।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে মাসে বিনামূল্যে দশ কেজি করে চাল-গম গরিবদের বন্টন করার আবেদন রেখেছিলেন তিনি। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী, দিমজুরদের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করল মোদি সরকার। এতে যে খাদ্য সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টাও এ দিন স্পষ্ট করেছেন অর্থমন্ত্রী সীতারমন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা জানিয়েছেন, গরিবের খাদ্যসুরক্ষা ছাড়াও প্যাকেজের অন্তর্গত চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষের স্বাস্থ্য বিমা, ৮ কোটি ৬৯ লক্ষ কৃষকের জন্য এপ্রিলের শুরুতে ২ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান রয়েছে।মজুরি বাড়ানো হয়েছে শ্রমিকদেরও। এই অনুযায়ী ১০০ দিনের কাজের মজুরি ১৮২ টাকার পরিবর্তে ২০২ টাকা করে পাবেন শ্রমিকরা। এতে উপকৃত হবেন ৫ কোটি শ্রমিক।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, আমরা এমন এক প্যাকেজ তৈরি করেছি, যা মানুষের সব সমস্যার সমাধান করবে। বিশেষ করে নজর দেওয়া হয়েছে নগদ ট্রান্সফার ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়। স্বাস্থ্য বিমার আওতায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি আশা কর্মী, নার্সও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।