Barak UpdatesAnalyticsSports

মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলে লাভ নেই রাজদীপের, লড়াইয়ে সুস্মিতাও
Battle for DSA: CM Sonowal’s name dragged in favour of Rajdeep, strong challenge by Sushmita

বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী: সুস্মিতা দেব

২৩ নভেম্বরঃ রাত পোহালেই, রবিবার সকাল ১১টায় শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি পুনর্গঠন। এবার খেলার মাঠের নির্বাচনে রাজনীতির লড়াই ভিন্ন মাত্রা পেতে চলেছে। সভাপতি পদে সাংসদ রাজদীপ রায়কে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা হল কিনা, সে বিতর্ক দূরে ঠেলে প্রার্থিত্বের কথা বলে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি শনিবার জানিয়েছেন, বাবুলকাকু (হোড়) না দাঁড়ালেই রাজদীপ রায় ডিএসএ সভাপতি হয়ে যাবেন, বিষয়টি এত সহজ নয়। তিনি নিজেও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।

তবে তাঁর প্রার্থিত্বের একটাই শর্ত, রাজদীপ রায় পেছনের দরজা দিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাথায় চড়ে বসতে চাইলে তা তিনি মেনে নেবেন না। রাজদীপ প্রার্থী হলেই তিনি তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। নইলে শুধু বাবুল হোড় নন, ক্রীড়াজগতের যে কেউ সভাপতি হলে তাঁর এতে সক্রিয়ভাবে জড়ানোর আগ্রহ নেই। বর্তমান সভাপতি বাবুল হোড় অবশ্য রাজদীপ রায়ের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে যাবেন না, আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে রাজদীপ সভাপতি পদের জন্য গোঁ ধরলে বাবুল হোড়ের বদলে তাঁকে সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। রাজদীপবাবু অবশ্য এ দিন তাঁর অবস্থান খোলসা করেননি। তিনি না দাঁড়ালে ওই পদে বাবুল হোড়ের পুনর্নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত।

লড়াই জমজমাট সম্পাদক পদেও। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ রাজদীপকে সভাপতি করে বাবুলবাবুকে ফের সম্পাদক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। বাবুল হোড় সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দেন। সভাপতি হতে না পারলেও তাঁর অন্য কোনও পদে লড়াইয়ের সম্ভাবনা নেই। ফলে সম্পাদক পদে বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ বনাম অতনু ভট্টাচার্যের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে। এই চেয়ারের দিকে তাকিয়ে বিজেন্দ্র বেশ কয়েকবছর ধরে ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি নিজে না লড়ে কিংমেকারের ভূমিকায় ছিলেন। লক্ষ্য ছিল, সহ সম্পাদক হিসেবে দুই বছর থেকে ২০১৯-এ সম্পাদক হবেন।

স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অতনুরও দীর্ঘদিন ধরে মাঠের সঙ্গে পরিচয়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গাটা খুব মজবুত। উপসভাপতি পদে মেজর শাখায় সুজয় দত্তরায়, সাঁতারে আশুতোষ রায়, সাংস্কৃতিক শাখায় প্রদীপ দাস, রেফারি-আম্পায়ারে নন্দদুলাল রায়ের দায়িত্বগ্রহণ শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে উপসভাপতির অন্যান্য ক্রীড়া বিভাগে মৃদুল মজুমদার ও জহরলাল পাল দুজনেই ভোটাভুটিতে যেতে প্রস্তুত। প্রতিদ্বন্ধিতা হবে প্রশাসন শাখাতেও। ভিপি অ্যাডমিনে প্রার্খীরা হলেন সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, অনুপ সিংহ ও সুধেন্দু পাল।

বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী, এই পণ নিয়ে সহ সম্পাদক পদের ক্রিকেট শাখার জন্য প্রচার করে চলেছেন নিরঞ্জন রায় ও নীহারেন্দু দেব। এজিএস-অ্যাডমিন হতে চান প্রণবানন্দ দাশ, আশিস চক্রবর্তী ও যাদব পাল। তবে সব ছাপিয়ে সকলের চোখ এজিএস-মেজর পদে নির্বাচনের দিকে। এই পদে দুই প্রার্থী চন্দন শর্মা ও অরিজিত গুপ্ত।  স্টেডিয়াম সচিব পদে লড়ছেন দেবাশিস সোম, সত্যজিত দে ও সুদীপ রায়চৌধুরী। ইন্ডোর শাখা সচিব হওয়ার লড়াইয়ে জগবন্ধু পাল, সঞ্জু রায় ও অমিনেষ চন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker