Barak UpdatesHappeningsBreaking News

১৮-অনূর্ধ্ব মেয়েদের বিয়ের হার বাড়ছে, উদ্বেগে হাইলাকান্দি প্রশাসন

২২ ডিসেম্বর:  ভারতে একসময় ১৮ পেরনোর আগেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো৷ ১৯৭০ সালে এর হার ছিল ৭৪ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে তা ৩৭ শতাংশে এসে ঠেকে। এ বার অনেকটাই কমে এসেছে৷ ২০২০ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি সার্ভে জানাচ্ছে, এখন দেশে ১৮-অনূর্ধ মেয়ের বিয়ের হার ২৭ শতাংশ৷

Rananuj

কিন্তু অসমের হাইলাকান্দি জেলায় চিত্রটি বিপরীত। ২০১৫ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, ওই জেলায় ১৮-অনূর্ধ্বদের মধ্যে বিয়ে হয় ২২.৯ শতাংশের৷ এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৩২.৯ শতাংশ। এই বৃদ্ধি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ একে ভারতের লক্ষ্য, বর্তমানের ২৭ শতাংশকে ধীরে ধীরে কমিয়ে ২০৩০ সালে ৫.৩ শতাংশে নামানো। সে জন্য দেশ জুড়ে নানা প্রকল্প চলছে৷ দ্বিতীয়ত, কম বয়সে বিয়ের হার বাড়লে বাড়বে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু।

এই বছর জেলায় মোট ১৫ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তা অন্য বছরের তুলনায় বেশি না হলেও স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা আশুতোষ বর্মণের আশঙ্কা, যে কোনও সময় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলাশাসক মেঘনিধি দাহালও। জানান, এখন তিনি নিজে প্রতি মাসে তা পর্যালোচনা করবেন। কম বয়সে বিয়ের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন জেলাশাসক। সঙ্গে জানান, এর ফলে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার যেন আচমকা বেড়ে না যায়, এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই তিনি নিয়মিত প্রসূতিদের পরীক্ষা করে যেতে এএনএম-দের নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যকর্তাদের বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা ও টিকাকরণে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। একই কথা বলেন সমাজকল্যাণ বিভাগকেও।

স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা আশুতোষ বর্মন জানান, ওই লক্ষ্যেই তারা প্রচারে জোর দিচ্ছেন। হচ্ছে সভা-সমিতি-মেলা। তাঁর কথায়, ১৮-অনূর্ধ্ব মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে অভিভাবক, এনজিও এবং সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজেরও৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker