Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডা. গোপালের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়নি, ক্ষোভAgreement not renewed with Dr. Gopal, anguish expressed
৩ জানুয়ারি: চুক্তি পুনর্নবীকরণ ফাইলে স্বাক্ষর না হওয়ায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাকেশ পি গোপালের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে রোগী দেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ সেপ্টেম্বর থেকে পরপর তিনবার তিনি এখানে এসেছেন৷ রোগী দেখেছেন৷ এর পরেই দিসপুরে চুক্তি পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ফাইল পাঠানো হয়৷ এ বার ছয়মাসের পুনর্নবীকরণ চাইছেন তাঁরা৷ কিন্তু সেই ফাইল দিসপুরে পড়ে রয়েছে৷ এ নিয়ে বরাক জুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ সরকারের ভূমিকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে নবগঠিত বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট৷
তারা বলেন, সায়ন্তন চক্রবর্তীর অকাল মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বরাকের মানুষ পথে নেমেছিলেন। তারপর থেকে কিছু মানুষের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির দরুন সরকার চেন্নাইর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাকেশ পি গোপালের সঙ্গে চুক্তি করেন, তিনি প্রতি মাসে তিনদিন শিলচর মেডিকেল কলেজে আসবেন। তাতে বরাকবাসী আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কারণ ডাঃ গোপাল মাসে তিনদিন আসলেও তিনি ক্যাথল্যাব সহ এসএমসিএইচ-এর হৃদরোগ সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করছিলেন এবং স্থানীয় ডাক্তারদের এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ করে তুলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে পরপর তিন মাস আসার পরই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে গেলো। কারণ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চুক্তিপত্রটি পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন। এক মাস অতিক্রান্ত। শুধু দুটি সাক্ষরের অভাবে মানুষের জীবনমৃত্যু সম্পর্কীত কাজটি এগোচ্ছে না।
বিডিএফ সদস্যরা এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, আসলে রাজ্য সরকার বরাকের উন্নয়নে আগ্রহী নয়। তাঁদের আশঙ্কা, এ সবের ফলে হয়তো ডাঃ গোপাল আগ্রহ হারাতে পারেন। এতো কাঠখড় পুড়িয়ে যতটুকু সাফল্য এসেছিল তা আবার যদি রাজ্য সরকারের অবহেলায় ভেস্তে যায় তবে তারজন্য কে দায়ী হবেন, প্রশ্ন বিডিএফের।
তাঁরা আরও বলেন, অনেকদিন আগে ক্যাথল্যাব স্থাপনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। এখন অবধি সে ব্যাপারে আর সাড়াশব্দ নেই।
File pic
তাঁরা বলেন একটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি প্রাথমিকতা।অথচ দেখা যাচ্ছে যেখানে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা থাকা অবস্থায় আরেকটি মেডিক্যাল কলেজের প্রস্তাব অনুমোদিত হচ্ছে সেখানে বরাকের মানুষ এখনো ন্যুনতম চিকিৎসা সেবা এবং পরিকাঠামোর অভাবে হৃদরোগ বা স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়ে বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছেন কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব রোগীকে বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সময় পাওয়া যায় না।