Barak UpdatesIndia & World UpdatesAnalyticsBreaking NewsFeature Story
মঙ্গল-চন্দ্রের পর সৌর অভিযানের প্রস্তুতি চলছে, জানালেন জিতেন্দ্রনাথ গোস্বামীAfter Mars & Moon, preparation going on for solar expedition, informs Jitendranath Goswami
১৮ নভেম্বরঃ মঙ্গল, চন্দ্রের পর এ বার লক্ষ্য সূর্য। এত তেজ! কী আছে তাতে, বিস্তৃত জানতে চান মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তাদের এই কাজে সাহস জুগিয়েছে মঙ্গলযান ও চন্দ্রযান। মঙ্গলে অভিযান নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন নেই। আচমকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চন্দ্রযান কিছুটা সংশয় তৈরি করে দিয়েছে। তবে এই সংশয়কে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী জিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী। প্রথম চন্দ্রযান পাঠানোর অভিযানে তিনিই ছিলেন প্রধান। এ বারের কাজকর্মে সে ভাবে দায়িত্বে না থাকলেও প্রয়োজনীয় সময়ে উপদেশ-পরামর্শ দিয়েছেন।
শিলচরে বসে ওয়েটুবরাক-কে এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের অভিযান মোটেও ব্যর্থ হয়নি। বিক্রম নিখুঁতভাবে কাজটা করতে পারলে চাঁদের গর্তে যন্ত্রপাতি পাঠানো যেত। এর ভেতরে আদৌ জল রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা হতো। কারণ অনেকদিন ধরেই বলাবলি হচ্ছে, চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জিতেন্দ্রবাবু জানান, জল নয়। মিলেছে আসলে জলের মৌল। সেখান থেকে বিজ্ঞানীরা জল থাকার অনুমান করছেন। এই প্রয়াস অবশ্য বন্ধ নেই। দ্বিতীয় চন্দ্রযানই এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা নেবে। একে যে চাঁদের কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা গিয়েছে, একেই বড় সাফল্য বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ও-ই এখন ঘুরে ঘুরে বিজ্ঞানীদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাবে।
সেখান থেকেই তাদের সৌর অভিযানের স্বপ্ন দেখা শুরু। আর সেই স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। জিতেন্দ্রবাবু আশাবাদী, কয়েক বছরের মধ্যে সূর্য সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানা যাবে। তাঁর কাছে আরও খুশির কথা, ভারতই এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মহাকাশ গবেষণায় অবশ্য আমার-তোমার ব্যাপারটা তত প্রকট নয়। সবাই সব কাজে পাশে দাঁড়ায়। সূর্যের কক্ষপথে পৌঁছানোর ভাবনার প্রাথমিক পর্বেই অন্যরা সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
তাঁর কথায়, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। প্রতি বছর তাঁরা ৬টি উপগ্রহ পাঠান। যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোটাই উপগ্রহনির্ভর। সঙ্গে রিমোট সেন্সিং এবং মহাকাশ গবেষণায় সাহায্য করে এরা। আর একবার সূর্যের কক্ষপছে পৌঁছানো গেলে বিজ্ঞানটাই বদলে যাবে। তিনি নিশ্চিত, এতদিন ধরে জেনে আসা বহু কথা নতুনভাবে সামনে আসবে।