Barak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story
অনলাইন ক্লাশের জন্য মোবাইল দিয়েও খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের, লিখেছেন শিল্পী চক্রবর্তী
২২ মে :আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভীষণভাবে বিপন্ন। চারিদিকে আজ অতিমারির প্রকোপ। কোভিডের দাপটে কোনো কিছুর নিশ্চয়তা নেই৷ আর এই সময়ে দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মনে বিভিন্ন ধরনের ভাবনা এসে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে । কী এদের ভবিষ্যৎ? অনলাইনে পড়াশোনার লাভ হলেও তার সাথে ক্ষতিও কি কম হচ্ছে ? ছাত্রছাত্রীরা কি শুধু পড়াশোনার জন্য মোবাইল ব্যবহার করছে, নাকি তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেমস নিয়ে মেতে উঠেছে?
মোবাইল ফোনের ব্যবহার যে কতটুকু ক্ষতিকারক তা কারোর অজানা নয়৷ বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। আজ আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়েই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দিতে বাধ্য হয়েছি৷ আর এরই সুযোগে একাংশ ছেলেমেয়ে খেলায় ডুবে গিয়ে মোবাইলের অপব্যবহার করে বেড়াচ্ছে। পড়াশোনার চাইতে খেলা নিয়ে বেশি করে মেতে উঠছে৷ এদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ এক বিশাল চিন্তার বিষয় বলে আমি মনে করি।
আজকাল অনলাইনে পড়াশোনার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে শৈক্ষিক পরিবেশ কতটুকু পাচ্ছে তাতেও একটি প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোনো ছাত্র বা ছাত্রী যদি অনলাইন ক্লাশে পড়তে বসে, তখন বাবা নয়তো মা পাশ থেকে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, যা সে স্কুলে গিয়ে পায় না। এর ফলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে। স্কুলে গেলে যে আত্মবিশ্বাসের সাথে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে, তা বাড়িতে থেকে হয় না বলেই আমি মনে করি। আর তা থেকেই আশঙ্কায় ভুগি, এরা স্বাবলম্বী হওয়া থেকে পিছিয়ে পড়ছে না তো!
এই ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে অভিভাবকদের ভাবতে হবে। পড়াশোনার বাইরে যেন মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে নিজেদের সন্তানদের বিরত রাখা যায়। প্রত্যেকে যেন আরও একটু বেশি সময় এদের সাথে কাটাতে পারেন, সেই চেষ্টাও করা উচিত। সব থেকে কাজের হতো মোবাইল গেমসগুলো যদি কোনো উপায়ে বন্ধ করা যেত৷ তাহলে সবার যে কী বিরাট উপকার হতো!
(শিল্পী চক্রবর্তী শিলচর কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষিকা৷)