Barak UpdatesHappeningsAnalytics
করিমগঞ্জে করোনা রোগে মৃতের দাহকার্যে বাধা দিলে আইনি পদক্ষেপ
ওয়েটুবরাক, ৬ মে : করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার নিয়ে প্রতিবাদ করা চলবে না৷ এখন থেকে করিমগঞ্জ জেলার কোভিড মৃতদেহের নিজ নিজ শ্মশানে শেষকৃৃৃৃত্য হবে।
করিমগঞ্জ শহরের বিপিনপাল রোডের বাসিন্দা মৃনালকান্তি দে র মরদেহ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছিল। সরিষা শ্মশানে দাহকার্য না হওয়াতে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ রিজার্ভ জুনিটিলাতে এবং সেখানেই শেষকার্য্য সম্পন হয়। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় । এতে সরিষা এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন নাগরিকরা জোটবদ্ধ হন। তাঁরা জানান, এলাকার কিছু দুষ্ট লোক গোটা সমাজকে কলঙ্কিত করেছে। তাঁরা পরে সিদ্ধান্ত নেন, শুধু এই এলাকার নয়, যে কোন মৃতদেহ সরিষা শ্মশানে সতকার করা যাবে। কোনও বাধা দেওয়া হবে না। যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে সরিষা শ্মশান কমিটি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে ।
সরিষা শ্মশান কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাদের ধ্যন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসন, সামাজিক সংগঠন রবিনহুড আর্মি সহ অন্যান্য সংগঠন। জেলা প্রশাসন সরিষা শ্মশান কমিটির সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে ঘোষণা করেছে, এখন থেকে করোনার মৃতদেহ যে কোনও শ্মশানে দাহ করা যাবে, যদি কেউ বাধা দেয়, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
এদিকে বুধবার করিমগঞ্জ বিপিনপাল রোডের শ্যামল রায়ের মৃত্যু হলে পরিবারের ইচ্ছে ছিলো শিলচরের শ্মশানে দাহ করার। কিন্তু অনুমতি দেয়নি কাছাড় জেলা প্রশাসন । বাধ্য হয়ে পরিবারের মানুষ মৃতদেহ করিমগঞ্জে নিয়ে যান এবং সসম্মানে সরিষা শ্মশানে দাহকার্য করা হয় । এ প্রসঙ্গে রবিন হুড আর্মির সুজন দেব রায় বলেন, শ্যামলবাবুর দেহ শিলচর থেকে আসার পর বিনা বাধায় আমরা সরিষা শ্মশানে দাহকার্য সম্পন করি। আমাদের আশা, আগামীতে আর করিমগঞ্জের কোনও শ্মশানে বাধা দেওয়া হবে না । একইসঙ্গে সুজন বাবু এও জানান, যেহেতু রবিন হুড আর্মির চার সদস্য শ্মশানে দাহকার্যে সরাসরি যুক্ত, তাই তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন আবর্ত ভবনের একটি কক্ষ তাদের জন্য বরাদ্দ করেছে । এখন তারা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলা আবর্ত ভবনে থাকবেন।