Barak UpdatesBreaking News

দাবি মানার লিখিত আশ্বাস পেয়েই তালা খুলেছি, বললেন মিলন

১০ অক্টোবর : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই বলে দাবি করলেন ছাত্র সংসদের বিদায়ী সভাপতি মিলন দাস। বুধবার ওয়ে টু বরাক প্রতিনিধিকে তিনি সাফ জানালেন, উপাচার্যের কক্ষের তালা ভাঙতেও এ দিন কেউ এগিয়ে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মিলন বলেন, এবারের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিরোধী শিবির বলে কিছু ছিল না। এটা এজন্য যে, কোনও ছাত্র সংস্থার পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।

এদিকে, নবনির্বাচিত ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা বুধবার বিকেলে শপথ গ্রহণ করেন। বিপিন পাল সভাস্থলে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে। তার আগেই মিলন ও তার সমর্থকরা উপাচার্যের কক্ষের তালা খুলে দিয়েছেন। মিলন দাবি করেন, কোনও ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর চাপে পড়ে তিনি উপাচার্যের কক্ষের তালা খুলে দেননি। বরং আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে লিখিত আশ্বাস দেওয়ার পরই তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

মিলন বলেন, সমীর বেহেরা ইস্যুতে গত কয়েকদিন থেকে তারা লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি ছিল, এই ইস্যুতে কর্তৃপক্ষ যেন আদালতে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। সে অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ আদালতকে তাদের অবস্থান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মিলন জানান, এই খবর পাওয়ার পরই বুধবার বিকেল ৩টা নাগাদ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার ও অন্যদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়েছে। এতে বিদায়ী সভাপতি হিসেবে মিলন নিজে এবং বিদায়ী সম্পাদক পল্লব সিং ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মিলন দাবি করেন, এই বৈঠকে একটি সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে তা জানানোর পরই উপাচার্যের কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়। তবে তারা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আগামী শুনানিতে কর্তৃপক্ষ আদালতকে প্রয়োজনীয় নথি না দিলে ছাত্র ও গবেষকদের নিয়ে ফের আন্দোলনে ঝাঁপাবেন তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker