Barak UpdatesHappeningsBreaking News

ধলাইয়ে নৈতিক জয় কংগ্রেসেরই, দাবি অভিজিতের

ওয়েটুবরাক, ২৩ নভেম্বরঃ পঞ্চম থেকে দশম রাউন্ড পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্খী ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থ বিজেপির নীহাররঞ্জন দাসকে বেশ চাপে রেখেছিলেন। কখনও লিড নিতে না পারলেও নবম রাউন্ডের গণনার পর ব্যবধান কমিয়ে এনেছিলেন ৫৬৭-তে। পরের রাউন্ডগুলিতে অবশ্য ভোট বেড়েই গিয়েছে বিজেপির। তবু সেই ব্যবধানকে চার অঙ্কে আটকে রেখেছেন ধ্রুবজ্যোতি।

৯০৯৮ ভোটে দলের প্রার্খী হেরে গেলেও জেলা কংগ্রেস সভাপতি অভিজিত পাল বলেন, এটি কংগ্রেসের নৈতিক জয়। কারণ এ শুধু নীহাররঞ্জন দাসের সঙ্গে লড়াই ছিল না, তাদের লড়তে হয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা-জয়ন্ত মল্ল বরুয়া-পরিমল শুক্লবৈদ্যর বিরুদ্ধেও। তাঁর কথায়, সরকারি প্রশাসন যন্ত্রকে যাচ্ছেতাই ভাবে ব্যবহার করেও বিজেপিকে সারাক্ষণ হারের আতঙ্ক তাড়া করেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে শিলচর, শ্রীভূমি ও হাইলাকান্দির কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার দরুন। একে ২০২৬-র অক্সিজেন বলেই মনে করছেন তিনি। অভিজিত জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল স্তরে সর্বত্র কমিটি ছিল না। পরবর্তী সময়ে সমস্ত বুথ কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন করা হয়েছে। মণ্ডলগুলিকেও পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। প্রার্থীচয়ন খুুবই ভালো হয়েছিল বলে দাবি করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তাঁর বাবা দীগেন্দ্রচন্দ্র পুরকায়স্থ দুইবার বিধায়ক ছিলেন। তিনিও সমাজের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

দলীয় প্রার্থী জিততে না পারলেও তাঁর কাছে আশার কথা, বিজেপির হিন্দু ভোটে ভাঙন ধরেছে। লোকসভা ভোটে প্রায় সব মুসলমানরাই কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। এ বার যে তাদের ভোট বেড়েছে, সবটাই হিন্দুভোট। এই ভাঙন ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেই দাবি জেলা কংগ্রেস সভাপতির।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker