India & World UpdatesHappeningsBreaking News
প্রয়াত রতন টাটা
ওয়েটুবরাক, ৯ অক্টোবর : রতন টাটা প্রয়াত। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বুধবার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অনেক কম বয়সে রতন টাটা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন। যানবাহন সেক্টর থেকে স্টিল, সমস্ত ব্যবসায় টাটা-র অবস্থান ছিল শীর্ষে। চেয়ারম্যান হওয়ার পর রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ নতুন উচ্চতায় পৌঁছয়।
১৯৯৬ সালে তাঁর হাত ধরেই টাটা টেলিকম কোম্পানি ‘টাটা টেলিসার্ভিসেস’ চালু হয়। ২০০৪ সালে সেটাই ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ হিসাবে শেয়ার বাজারে লিস্টেড হয়। আর আজ সেই টিসিএস পৃথিবীর বৃহত্তম আইটি সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম।
নামী-দামী শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে সংস্থার স্টকের মূল্য নিয়ে জালিয়াতির মতো অভিযোগ উঠলেও এ বিষয়ে রতনবাবু বরাবর ক্লিনচিট পেয়েছেন। শিল্পমহলে তিনি ‘ট্রু জেন্টলম্যান’।
১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে পার্সি পরিবারে জন্ম। ১০ বছর বয়সে মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। নিজের এক ভাই রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎভাইও আছে। বিদেশে স্নাতকোত্তের করার পর সাতের দশকে টাটা গ্রুপে ম্যানেজার স্তরের দায়িত্ব পান রতন টাটা।
ধনকুবের হয়েও তাঁর জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সাধারণ। বেশি বিলাসিতায় তাঁর কোনওদিনই আগ্রহ ছিল না। টাটা মোটর্সের মালিক হয়েও তিনি কোনও দামি গাড়ি ব্যবহার করতেন না।
টাটা গোষ্ঠীর মুনাফা কাজে লাগিয়ে সামাজিক কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কর্মসংস্থান তৈরিই তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল। রতন টাটার জীবন দর্শন বিশ্বজুড়ে যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণা। বয়স যত বেড়েছে ততই দানধ্যানে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পান রতন টাটা। ২০০৮ সালে ‘পদ্ম বিভূষণ সম্মান’। এছাড়া দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মান এসেছে তাঁর ঝুলিতে।