স্বপ্নপূরণ ! শিলান্যাসের ১২ বছর পর বাদ্রীঘাট সেতু উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ওয়ে টু বরাক, ৭ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার এক দিনের সফরে এসে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এ দিন সকালে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী শিলচর শহর লাগোয়া বেরেঙ্গা বাদ্রীঘাট সেতুর উদ্বোধন করেন। এই সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ছিল খুশির পরিবেশ। সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়েছিলেন নবনির্মিত সেতুর ওপর। সেতু উদ্বোধনের পাশাপাশি ফলক উন্মোচনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া, কাছাড়ের তিন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, কৌশিক রায় ও করিমউদ্দিন বড়ভূইয়া।

এ দিন সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে বাদ্রীঘাট ব্রিজ ডিমান্ড কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, সেই ছোটবেলা থেকেই এখানে সেতু নির্মাণের কথা শুনে আসছি। দীর্ঘদিন পর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে এই দিনটি এলাকার মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। তিনি বলেছেন, এই সেতুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের উন্নয়নের নব যাত্রার সূচনা হবে। বরাকপার, কাশীপুর, বাগপুর, গোবিন্দপুর, বাঁশকান্দি ইত্যাদি এলাকার মানুষের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাতপর্যবাহী।

এই দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন সোনাইর বিধায়ক করিমউদ্দিন বড়ভূইয়াও (সাজু)। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর এই সেতুটি নির্মাণ হলো। তবে কাজ শুরু হয়েছিল ১২ বছর আগে। ৮ বছর আগেই এটির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, সোনাই-এর মানুষের কাছে আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। কারণ বাদ্রীঘাট ও ডুংরিপার দুটো সেতুই আজ উদ্বোধন হয়েছে সোনাই বিধানসভা এলাকায়। সোনাইয়ের শিলকুড়িতে একটি কনভেনশন সেন্টারের শিলান্যাস হবে। এর থেকে বেশি আনন্দের হচ্ছে, কাছাড়ের জেলাশাসকের কার্যালয়েরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে সোনাবাড়িঘাট বাইপাস সড়কেই।

বিধায়ক সাজু বরাক উপত্যকায় বিদ্যুতের সমস্যা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, এখানে রাস্তাঘাটেরও করুণ অবস্থা। ফলে এগুলো সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ দিন সোনাইর প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর বলেন, এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী বরাকে এসে একইদিনে এতোগুলো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেননি।