গুজরাট হাই কোর্টে স্বস্তি মেলেনি রাহুলের, মেতে রায় হচ্ছে না

ওয়েটুবরাক, ৩ মে : মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে সুরাট আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তাঁকে।  একে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার হাইকোর্টেও স্বস্তি মিলল না। ফলে আরও বিপাকে রাহুল। তাঁর আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে গুজরাট হাইকোর্ট সুরাট আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের আদালত জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য আদালত ৮ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কারণ, বিচারপতি প্রচ্ছক ৮ মে থেকে দেশের বাইরে বেড়াতে যাবেন।

বিচারপতি চূড়ান্ত রায়ের প্রত্যাশিত সময়সীমা জানানোর পর, রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের অনুরোধ করেছিলেন। বিচারপতি পালটা জানান, তিনি চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়ার আগে সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ঘটে যাওয়া মামলার পুরো বিচার প্রক্রিয়ার রেকর্ড খতিয়ে দেখতে চান৷

মঙ্গলবার অভিযোগকারী পূর্ণেশ মোদির আইনজীবী যুক্তি দেখান, আদালতের কক্ষে কংগ্রেস নেতার অবস্থান জনসাধারণের থেকে আলাদা। আইনজীবী আরও জানান, গান্ধী যদি নিজের অবস্থানে থেকে অবিরাম এবং দ্রুত বলে যেতেন, সেটাই ঠিক হত। কিন্তু, তিনি আদালতের কাছে পরিত্রাণ চেয়ে যেভাবে ‘শিশুর মত কান্নাকাটি’ করছেন, সেটা ঠিক নয়।

এর আগে কর্ণাটকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ললিত মোদি, নীরব মোদির প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন যে, ‘সব মোদিই কি চোর?’ তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘মোদি সম্প্রদায়’-কে অবমাননার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই গুজরাটের সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।