২৯-৩০ এপ্রিল শিলচরে বরাক-সুরমা নাট্যোৎসব, আসছে ঢাকা-সিলেটের দল

ওয়েটুবরাক, ২২ এপ্রিল : আগামী ২৯ ও ৩০ এপ্রিল শিলচরে বরাক-সুরমা নাট্যোৎসব ২০২৩-এর বরাক পর্ব। ভরা বৈশাখে এই নাট্য উৎসব আয়োজন করছে শিলচরের আজকের প্রজন্ম থিয়েটার ও রেস থিয়েটার পয়লাপুল। হাইলাকান্দি বিবর্তন থিয়েটার থাকছে সহযোগিতায়। মূলত এই সংগঠনগুলির যৌথ উদ্যোগেই গত দু’বছর থেকে শিলচরে হয়ে আসছে থিয়েটারের পৌষ পরব’। তবে এবার তাদের বৈশাখি পরব দু দিনের। আর এই দু’দিনে থাকবে মোট চারটি নাটক। সিলেট ও ঢাকার একটি করে দল ছাড়াও স্থানীয় দু’টি প্রযোজনা মঞ্চস্থ হবে। আজ এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছেন নাট্য উৎসবের আহ্বায়ক সুপরিচিত নাট্যকার ইন্দ্রনীল দে ।

শিলচর বঙ্গভবনে হতে চলা এই নাট্যোৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, গুয়াহাটি এবং পয়লাপুলের গণেশ দে মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। উৎসবের যুগ্ম আহ্বায়ক সায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, সম্প্রতি কথাকলি সিলেটের আয়োজনে এবং ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকা-র সহযোগিতায় সিলেটের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় বরাক-সুরমা নাট্যোৎসব। তাতে উপত্যকার চারটি দল তাদের প্রযোজনা মঞ্চস্থ করে আসে। সেই উৎসবের সঙ্গতি রেখেই এবার শিলচরে আয়োজন করা হচ্ছে বরাক পর্ব। তবে অতীতে আয়োজিত বরাক-সুরমা নাট্যোৎসবের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এটা পুরোপুরিই আজকের প্রজন্ম ও রেস থিয়েটারের স্বতন্ত্র আয়োজন।”

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ২৯ এপ্রিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকবেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, সিলেটের সম্মিলিত নাট্য পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শীর্ষ কর্মকর্তারা। থাকবেন স্থানীয় বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বও।

আহ্বায়ক ইন্দ্রনীল দে জানান, সিলেট থেকে আসবে কথাকলি। তারা মঞ্চস্থ করবে তাদের বহুচর্চিত প্রযোজনা চে-র সাইকেল। আর, ঢাকা থেকে আসছে বাংলাদেশের এখনকার সময়ের অন্যতম সেরা দল প্রাঙ্গণে মোর। তাদের প্রযোজনা – আমি ও রবীন্দ্রনাথ। এছাড়াও অন্যতম আয়োজক রেস থিয়েটার পরিবেশন করবে তাদের নতুন নাটক এবিতিনের প্রত্যাবর্তন। শিলচর কালচারাল ইউনিট মঞ্চস্থ করবে শেখর দেবরায়ের রচনা, নির্দেশনা এবং একক অভিনয়ের নাটক মনসা কথা।’

এই নাট্য উৎসব উপলক্ষে ঢাকা ও সিলেট থেকে সব মিলিয়ে ৩৫ জনের একটি দল শিলচরে আসছে। এছাড়া স্থানীয় দু’টি নাট্য দল সহ আয়োজক মিলিয়ে দু দিনের একটা বড়সড় নাট্য যজ্ঞের দিকেই এগোচ্ছে শহর। বলা বাহুল্য, ইদানীং নাটক হলেই প্রেক্ষাঘর পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে শিলচরে। ফলে ভরা এই নাটকের বাজারে দুই দেশের চারটি নাটক দেখতেও দর্শকরা মুখিয়ে থাকবেন বলে আশাবাদী আয়োজকরা।