Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেবেন, ইঙ্গিত তমাল বণিকের
ওয়েটুবরাক, ৩০ মার্চ : জেলা কংগ্রেস সভাপতি থেকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হলেও তমালকান্তি বণিক নতুন পদ গ্রহণ করবেন না বলেই আকারে ইঙ্গিতে জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, “যেহেতু স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন থেকে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছি এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানের অনেক আন্দোলনই এখন মাঝপথে, সেসব থেকে সরে গিয়ে রাজ্যস্তরে এত বড় একটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে নতুন দায়িত্বের প্রতি সঠিক ন্যায় আমি করতে পারবো কী না সে বিষয়ে আমি নিজে সন্দিগ্ধ। তাই এই গুরুদায়িত্ব আমি গ্রহণ করতে পারব কি না সে বিষয়টা এখনও আমার ক্ষেত্রে ভাবনার স্তরেই রয়ে গেছে।”
তবে এতবড় একটা দায়িত্ব সামলানোর যোগ্য মনে করার জন্য তমাল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও দলের রাজ্য সভাপতি ভূপেন বরাকে ধন্যবাদ জানান।
অভিজিত পালের নাম উল্লেখ না করেই শিলচর জেলা কংগ্রেসের নতুন মনোনীত সভাপতিকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ করেন। আশা করেন, নতুন নেতৃত্বে দল বলিষ্ঠ ভাবেই জনগণের বিভিন্ন ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াইয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট থাকবে এবং কংগ্রেস পরিবারের সবই একজোট হয়ে সকল অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভবিষ্যত দিনগুলিতেও লড়াই চালিয়ে যাবেন৷
তমাল বণিক জানান, “ছাত্রজীবন থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের নিয়ম নীতি আদর্শ ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে দলের একনিষ্ঠ সেবক হিসাবে কাজ করতে পারার গর্বে এক গর্বিত সৈনিক আমি। ২০২২ সালের ১০ মে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ভুপেন কুমার বরা আমাকে শিলচর জেলা কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। আমি দলীয় অনুশাসন ও নির্দেশ মেনে এই পদের দায়িত্ব পালন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এই দীর্ঘ ১০ মাস আমার সাথে পূর্ণকালীন জেলা কমিটি যদিও ছিল না৷ তথাপি দলের জেলা স্তরের সব নেতৃবৃন্দের সাহায্যে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি৷”
তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন প্রলয়ঙ্করী বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে আপামর শিলচরবাসীর পাশে থাকা, অন্যায় ভাবে পুর নাগরিকদের উপর বৃহৎ করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং দলীয় কার্যক্রম ‘আজাদি কি গৌরব’ যাত্রা এবং সদ্য সমাপ্ত ‘হাত সে হাত জোড়ো’ যাত্রা এবং বর্তমানে চলতে থাকা নদীবাঁধ নির্মাণ কার্যের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখে সব ধরণের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সচেষ্ট থাকার কথা।
তাঁর কথায়, জেলা কংগ্রেসের প্রত্যেক পদাধিকারীর সক্রিয় সহযোগিতা ব্যতীত এতসব কর্মকাণ্ড সফল ভাবে সম্পাদন করা অসম্ভব ছিল৷ তাই তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন৷ তমাল ব্লক সভাপতি সহ সর্বস্তরের কর্মীদের সহযোগিতার কথা বিনয়ের সঙ্গে উল্লেখ করেন৷ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতিও৷ বলেন, “আজকের এই অন্ধকার সময়ের অবসান অচিরেই হবে, আর সেই নতুন ভোরের সাক্ষী আমরা সবাই হবো, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।