শাকসবজি চাষে কীটনাশকের অপব্যবহার, সতর্ক করল কৃষি বিভাগ

ওয়ে টু বরাক, ২৪ মার্চ ঃ আসামের কিছু স্থানে একাংশ কৃষক অসৎ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষকের দ্বারা উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল বিশেষ করে শাকসবজি চাষে কীটনাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিকের অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে কৃষক, সবজির পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা ও উপভোক্তাদের মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে কৃষকদের ভারসাম্য পদ্ধতিতে আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আসাম সরকারের কৃষি বিভাগ দ্বারা যৌথভাবে অনুমোদিত কীটনাশক বা রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে এবং বিকল্প হিসাবে জৈব কীটনাশক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যে কীটনাশক বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের নিষিদ্ধ কীটনাশকের পরিবর্তে শুধুমাত্র অনুমোদিত কীটনাশক বিক্রি করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ কোনও অবস্থাতেই নিষিদ্ধ কীটনাশক বিক্রি বরদাস্ত করবে না এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসাম সরকার ক্ষেতে কীটনাশক বা অন্যান্য রাসায়নিকের অত্যধিক প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্স এবং একটি কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্ক ফোর্সগুলি নিষিদ্ধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক লেনদেনকারী খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারি বিক্রেতাদের ওপর কড়া নজরদারি করছে। কৃষক, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ এবং সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছয়টি বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি শহরে পরিবহণ করা এ ধরনের সবজির নমুনা সংগ্রহ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। কাছাড় জেলাতেও কৃষকদের সচেতন করে তুলতে এ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ।