Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
আর্যপট্টি দুর্গাবাড়ির ৯৫-তম দুর্গোৎসবে ব্যাপক উদ্দীপনা
ওয়েটুবরাক, ৪ অক্টোবর : এখন আর পুজোয় গেলে প্রসাদ মেলে না, এমন আক্ষেপ শিলচরে অনেক এলাকায় শুনতে পাওয়া যায়৷ অভিযোগ, মণ্ডপ-আলোকে যত খরচ হয়, এর কিয়দংশও প্রসাদের জন্য বরাদ্দ করা হয় না৷ এ জায়গায় ব্যতিক্রম আর্যপট্টি দুর্গাবাড়ি৷ এবার তাঁদের ৯৫-তম দুর্গোৎসব।
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিনদিন দশ সহস্রাধিক মানুষ সুশৃঙ্খল ভাবে অন্নভোগের প্রসাদ গ্রহণ করেন। পোলাও, চানার ডাল, আলুর দম, ধোকার ডালনা, পনির তরকারি, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। শতাধিক গৃহে প্রতিদিন বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য প্রসাদ পাঠানো হয়। সন্ধ্যারতির পরও প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ হয়৷ লুচি ,আলুর দম, সুজি, পনির
পকোরা ইত্যাদি।
করোনা মহামারির পর এবার আর্যপট্টির দুর্গোৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সঠিক অর্থে মিলনোৎসবের রূপ নেয় বলে মন্তব্য করেন আর্যপট্টি দুর্গাবাড়ি পূজা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ চন্দ৷
তিনি জানান, ঐতিহ্যমণ্ডিত এই প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র দুর্গোৎসবই নয়, শিলচর তথা বরাক উপত্যকার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উৎকর্ষের জন্যও বিখ্যাত। এবারও মহাষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় বিপুল জনসমাবেশে হৃদয়গ্রাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে অর্ণব কর রচিত ও নিপু শর্মা পরিচালিত সঙ্গীতালেখ্য “জয়তু মাতৃভূমি”।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে পুজোপাঠ, প্রসাদ বিতরণ সবকিছু সুন্দর-সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য তিনি কমিটির কর্মকর্তা, কার্যবাহী সদস্য এবং এলাকাবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান৷