Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে আরও এক ব্লাড ব্যাঙ্ক, চালু হল ডাঃ রাহুল গুপ্ত মেমােরিয়াল ব্লাড সেন্টারDr Rahul Gupta Memorial Blood Centre begins its journey in Silchar
ওয়েটুবরাক, ১৭ আগস্ট : শিলচরে যাত্রা শুরু হল আরও এক ব্লাড ব্যাঙ্কের। গ্রিনহিলস হাসপাতালের উদ্যোগে মেহেরপুর বেলতলায় চালু হল ডাঃ রাহুল গুপ্ত মেমােরিয়াল ব্লাড সেন্টারের। সােমবার ফিতা কেটে এই বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক দ্বারােদ্ঘাটন করেন প্রয়াত ডাঃ রাহুল গুপ্তের সহধর্মিনী নন্দিতা গুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্ণধার রুদ্রনারায়ণ গুপ্ত, ডাঃ তনুশ্রী গুপ্ত, ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক ডাঃ অমিত সিনহা প্রমুখ।
রুদ্রনারায়ণ জানান, অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে আরও একটি ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রয়োজন টের পাচ্ছিলাম। প্রতিনিয়ত দেখছিলাম, মুমুর্ষ রােগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ করা খুব কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিতসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশিই হচ্ছিল। তা দূর করার জন্যই গ্রিনহিলস হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক চালুর এই উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন ছিল ব্লাড ব্যাঙ্ক স্থাপন করার। ওই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতেই এই উদ্যোগ। একই সুর ধ্বনিত হয় তাঁর মা নন্দিতা গুপ্তের কণ্ঠেও । তিনি বলেন, তাঁর বাবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে রুদ্র যে শুভ কাজের সূচনা করল, তাতে আমি প্রকৃতই আনন্দিত। তিনিও (ডা. গুপ্ত) এই ধরনের কাজ করতে খুব পছন্দ করতেন।
নতুন ব্লাড ব্যাঙ্কের বিশেষত্ব হল, এখানে রয়েছে ব্লাড কম্পােনেন্ট সেপারেটর মেশিন। অর্থাত প্লেটলেট কনসেনট্রেটর এবং প্লাজমা পৃথকীকরনের ব্যবস্থা। এর দরুন রােগীকে তাঁর প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টই দেওয়া যাবে। এই ব্যবস্থা বরাক উপত্যকায় শুধুমাত্র শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছে।
রুদ্রনারায়ণ নতুন ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, এখানে রক্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত পরিকাঠামাে গড়ে তােলা হয়েছে। রক্ত সংগ্রহের আগে যে সব টেস্ট করতে হয়, সবই হবে অটোমাইজড মেশিনে। নতুন এই ব্লাড ব্যাঙ্কে একজন চিকিৎসক সহ চারজন টেকনিশিয়ান রয়েছেন। কনসালটেন্ট হিসেবে যুক্ত থাকবেন ডাঃ সুব্রত নন্দী।
রুদ্রনারায়ণ জানান, কোনও রােগীর রক্তের প্রয়ােজন হলে তার পরিবারকে ডােনার অর্থাৎ রক্তদাতা নিয়ে আসতে হবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে আন্ডাটেকিং নিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। সে ক্ষেত্রে রােগীকে রক্ত দেওয়ার তিন দিনের ভিতরে ওই পরিবার বা আত্মীয়স্বজনকে রক্তদাতা জোগাড় করে আনতে হবে। তবে থ্যালাসেমিয়া রােগীদের বেলায় মানবিক কারণে ছাড় রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের বেলায় রক্তদাতা না আনলেও চলবে। থ্যালাসেমিয়া রােগীর জন্য দুটি বেডও রাখা হবে।