NE UpdatesHappeningsBreaking News
মেঘালয়ে পুজোমণ্ডপে ঢুকতে নাম-নম্বর লেখাতে হবে
১২ অক্টোবর: পুজো সংক্রান্ত করোনা-বিধি প্রকাশ করল মেঘালয় সরকার। অসম সরকার প্যান্ডাল করে পুজো না করতে, যতটা সম্ভব ঘট পুজোয় নিয়মরক্ষা করতে ও শুধু মাত্র স্থায়ী মন্দিরেই পুজো করার অনুরোধ রেখেছে। মেঘালয় সরকার প্যান্ডাল তৈরি বা বারোয়ারি পুজোয় নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি। কিন্তু বলে দেওয়া হয়েছে, ঠাকুর হতে হবে এক চালা। উচ্চতা ৫ ফুটের বেশি হওয়া চলবে না।
আরও বলা হয়েছে পূর্ত সড়ক বন্ধ করে প্যান্ডাল তৈরি করা যাবে না। প্যান্ডালে এক সঙ্গে বেশি দর্শনার্থীর ভিড় চলবে না। প্যান্ডাল তৈরি করতে হবে খোলামেলা। সব প্রবেশ পথে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ করার ও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মণ্ডপে ঢোকা সকলের নাম ও ফোন নম্বর খাতায় লিখে রাখতে হবে। ৬৫ বছরের বেশী বয়স্ক ব্যক্তি, ১০ বছরের নীচের শিশু, অন্য অসুস্থতা থাকা ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে মুখোশ পরে ও দূরত্ব বজায় রেখে পুজোয় ঘোরায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, নিজের এলাকার বাইরে পুজো দেখতে যাওয়া চলবে না।
স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পুজো সংক্রান্ত নিয়মাবলী নিয়ে এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর ভারও পুজো কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। যদি কাউকে সম্ভাব্য কোভিড পজিটিভ মনে করা হয় তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনার গাড়ির ব্যবস্থা কমিটিকে রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে অঞ্জলি পর্বও। প্রয়োজনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা চলবে না। যেহেতু কোভিডবিধির অঙ্গ হিসেবে শিলংয়ে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে নৈশ কার্ফু জারি হয়। তাই সব প্যান্ডালের প্রবেশপথ রাত ৯টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সকলে মিলে বসে ভোগ খাওয়াও বন্ধ। প্যাকেট করে ভোগ বিতরণ চলতে পারে। প্রতিবার শিলংয়ে পায়ে হেঁটে মিছিল করে বিভিন্ন কমিটি প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসে। এ বার পায়ে হাঁটা মিছিল বন্ধ। গাড়িতে চাপিয়ে ঠাকুর এনে বিসর্জন দিতে হবে। বিসর্জনপর্ব দশমীতে বিকেল ৩টের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।