NE UpdatesHappeningsFeature Story

প্রথম সতী রাধিকা পুরস্কার পেলেন জাটিঙ্গার ইভলিনটিক সাজেম

৩ সেপ্টেম্বর: কাছের স্কুল বললে, জাটিঙ্গার বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে হাফলঙে৷ আসা-যাওয়ায় ২০ কিলোমিটার৷ তাও হেঁটে যেতে রাজি হয়ে গেলেন ইভলিনটিক সাজেম। এই ভাবেই স্কুলের পাঠ শেষ করেন৷ ১৯৬৭ সালে হন স্নাতক৷ তখন কেউ ভাবতেই পারতেন না, জয়ন্তিয়া জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত জাটিঙ্গা থেকে কোনও উপজাতি মেয়ে লেখাপড়া করতে পারেন।  এখন অবশ্য এলাকার ১০০ শতাংশ মহিলা নিজের নাম লিখতে জানেন। অনেকে পড়তেও পারেন৷

২০০৬ সালে হাফলং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা পদ থেকে অবসর নেন ইভলিনটিক সাজেম৷ সে থেকে এলাকার মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাড়ি বাড়ি যান, সাক্ষরতার গুরুত্ব বোঝান। পরে নাম লেখা শেখান। তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে দিনরাত ছোটাছুটি করেন। এরই সুবাদে অসম সরকার প্রথম সতী রাধিকা পুরস্কারের জন্য ইভলিনটিক সাজেমকেই মনোনীত করে৷ এ বারই এই বিশেষ পুরস্কারটি চালু করে অসম সরকার।

বুধবার গুয়াহাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে অভিজ্ঞানপত্র, ট্রফি ও দুই লক্ষ টাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি বলেন, রাধিকা ছিলেন এক মহিয়সী নারী। তাঁর নামে প্রথম বছরের পুরস্কারটি সাজেমকে দেওয়ায় লক্ষ লক্ষ মহিলা উৎসাহিত হবেন।

৭৩ বছরের সাজেমের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজে শিক্ষা গ্রহণ করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। গোটা এলাকার মহিলাদের শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাজেম বলেন, প্রতিটি মহিলাকে অধিকার সচেতন করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। বুধবারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী নবকুমার দোলে, গুয়াহাটি উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, বন-পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker