NE UpdatesHappeningsBreaking News
২৫ জায়গায় বোমা রেখে আলফার তামাশা, আসামে আতঙ্কে কাটল স্বাধীনতা দিবস
ওয়েটুবরাক, ১৫ অগস্ট: বহু বছর পরে অসমে স্বাধীনতা দিবস কাটল বোমাতঙ্কে৷ সকালেই আলফা স্বাধীন প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বোমা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে৷ ভোর ছয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত সেগুলির বিস্ফোরণ ঘটানো হতো৷ কারিগরি ত্রুটির দরুণ তা সম্ভব হচ্ছে না৷ কোথায় কোথায় বোমা রাখা হয়েছে, এর দীর্ঘ তালিকাও বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়৷ এর পরই পুলিশের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়৷ সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাকুকুর সঙ্গে নিয়ে আলফা-নির্দিষ্ট স্থানে তল্লাশি চালানো হয়৷ গোয়েন্দাদের ঘুমে রেখে, পুলিশের কড়া নজরদারির দাবিকে প্রত্যাহ্বান জানিয়ে জঙ্গি সংগঠনটি যে সব জায়গায় বোমা রেখে যায়, সেগুলিকে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে গুয়াহাটির পানবাজার, গান্ধীমণ্ডপ পথ সহ লখিমপুর, শিবসাগর, নলবাড়ির বিভিন্ন জায়গা৷
আলফা স্বাধীনের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশপ্রধান জিপি সিংহ থানাগুলিকে সতর্ক করে দেন৷ তবে কোথাও কোনও অঘটনের খবর নেই৷
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শান্তির বাতাবরণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে পরেশ বরুয়াকে “বিনম্র” ভাবে বলেন, “এমন কিছু কাজ করবেন না, যাতে বিনিয়োগ আসা বন্ধ হয়ে যায়৷” টাটার সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের উল্লেখ করে হিমন্ত বলেন, অসমে বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে৷ দীর্ঘদিন পর বিকাশের মুখ দেখছেন রাজ্যবাসী৷ অসমে ১৪ লক্ষ বেকার রয়েছে৷ যুবকেরা এখানে কাজ না পেয়ে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে প্রাইভেট সিকিউরিটির কাজ করছে৷ বিনিয়োগ এলে, শিল্প-কারখানা হলে যে তাদের রাজ্যছাড়া হতে হবে না, তাও শোনান তিনি৷ পরেশ বরুয়ার উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “যুবকদের যদি বাইরে গিয়েই জীবন কাটাতে হয়, তাহলে অসমের স্বাধীনতার কথা বলে কী লাভ?” মুখ্যমন্ত্রী শর্মা আজও পরেশ বরুয়ার প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান৷
এদিকে, রাজ্যের পুলিশপ্রধান জিপি সিংহ বলেন, আলফা স্বাধীন গুয়াহাটির ৮ জায়গায় বোমা রাখার কথা বললেও মিলেছে দুই জায়গায়৷ তাও বোমা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেগুলিতে বিস্ফোরক সামগ্রী নেই৷ কিছু সার্কিট ও ব্যাটারি মাত্র৷ তবু উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ আলফা স্বাধীনের এ দিনের কার্যকলাপ নিয়ে যথাযথ তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই জানান জিপি সিংহ৷
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা বলেন, উদ্ধার হওয়া বোমা সদৃশ সামগ্রীগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর কোনও মেকানিজমই যুক্ত ছিল না৷ তবে পুলিশ কর্তারা যাই বলুন, সাধারণ জনতার উদ্বেগেই কাটে সারাদিন৷