NE UpdatesHappeningsBreaking News
২০২৫-২৬ বর্ষের ১,৫৫,৪২৮.৭৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ অজন্তার
গুয়াহাটি ঃ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বর্তমান কার্যকালের অন্তিম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল সোমবার। এ দিন ২০২৫-২৬ বর্ষের জন্য ৬২০.২৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ। আসন্ন আর্থিক বছরের জন্য অর্থমন্ত্রী নেওগ মোট ১,৫৫,৪২৮.৭৫ কোটি টাকার বাজেট দাখিল করেছেন। বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আগামী অর্থ বর্ষের বাজেটে রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ থেকে এই পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে। এই মোট পরিমাণের মধ্যে, ১১৭,২২৫.৯৭ কোটি টাকা রাজস্বের আওতাধীন এবং বাকি ৩৮,২০২.৭৮ কোটি টাকা মূলধনের আওতাধীন বলে বাজেটে দেখানো হয়েছে। বছরের শুরুতে বাজেট ঘাটতি ২,৫৭৪.৯৫ কোটি টাকা অনুমান করা হলেও ২০২৫-২৬ সালের শেষ নাগাদ বাজেট ঘাটতি ৬২০.২৭ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ তার বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগের বিধানসভায় পেশ করা বাজেট অনুসারে, অর্থবছরের মোট আমদানি হবে ১৫৫,৪২৮.৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজ্যের কর থেকে আদায় হবে ৩৪,৮২৩.০৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২২.৪০ শতাংশ। কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে আসবে ৮,৩৬২.২৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৫.৩৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় করের অংশীদার হিসেবে পাওয়া যাবে ৪৪,৪৯৪.০৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৮.৬৩ শতাংশ। কেন্দ্রের অনুমোদিত প্রকল্প থেকে আসবে ২৪,৭৫৪.৫৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫.৯৩ শতাংশ। অর্থ কমিশনের অনুমোদন থেকে আসবে ৪,৪৮২.১৮ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ২.৮৮ শতাংশ। সরকারি ঋণ গ্রহণ থেকে আসবে ৩৬,১৮৫.০০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৩.২৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে ২২.৪০ শতাংশ অর্থ আসবে রাজ্য কর থেকেত, ২৮.৬৩ শতাংশ আসবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর ভাগ থেকে, অর্থাৎ মোট বাজেটের ৫১.০৩ শতাংশ আসবে কর থেকে। বাজেটের ২৩.২৮ শতাংশ আসবে সরকারি ঋণ থেকে।
অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ১০ বছরেরও কম সময়ে আসামের বাজেট ব্যয় ২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এটি দেশের আর্থিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও, ২০১৫-১৬ সালে আসামে মূলধন ব্যয় ছিল ২৯৫২ কোটি টাকা। বিপরীতে, ২০২৪-২৫ সালে মূলধন ব্যয় বেড়ে ২৪,৯৬৪ কোটি টাকা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, ২০১৫-১৬ সালের তুলনায় এটি আট গুণ বেশি। অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আসামের ঋণের পরিমাণ মোট রাজ্যের ঘরোয়া উতপাদনের ওপর নির্ভর করে ৩২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ আরও বলেন, বিজেপি সরকারের অধীনে গত ১০ বছরে আসামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এক নতুন স্তরে পৌঁছেছে। রাজ্যের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।