NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
১১ জনকে ধরে নিয়ে ৩ জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলল ডিএনএলএ
ওয়েটুবরাক, ৭ ডিসেম্বর : ১১ জনকে ধরে নিয়ে ৩ জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলল ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ডিএনএলএ)৷ ১১জনের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন গ্রামবাসীও৷ বাকিরা তাদের ক্যাডার৷
খবর পেয়ে সোমবার পুলিশ তাদের ডেজিগনেটেড ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে দুই গ্রামবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ অন্য চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাফলং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ক্যাম্পেরই আরেক ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ডিএনএলএ-র পাঁচ ক্যাডারকে৷ পুলিশ জানিয়েছে, মাইবাঙের ডেজিগনেটেড ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল এরা৷ তাই তাদের ধরে এনে মারপিট করা হয়৷ জখম ডিএনএলএ ক্যাডারদের একজন মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন৷ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ ডিএনএলএ-কে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে রয়েছে স্বঘোষিত উপ-সেনাধ্যক্ষ প্রীতমজিৎ জিডুংও৷ নিহত গ্রামবাসীরা হলেন রামসেন লাংথাসা ও বিমল গোস্বামী৷ সতীর্থের মারে প্রাণ হারিয়েছেন অপরাথ লাংথাসা৷
ডিএনএলএ গত ১৩ নভেম্বর অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসে৷ জঙ্গি সংগঠনটির ৪৬ জন সদস্যের আস্তানা হয় মাইবাঙের মানিগিপুর ডেজিগনেটেড ক্যাম্প৷ সেখানেই ঘটে ওইসব অমানবিক নির্যাতন ও প্রাণহানির ঘটনা৷ গ্রামবাসীদের কেন ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তা জানা যায়নি৷
ডিমা হাসাও জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপার ইন্দ্রনীল বরুয়া জানান, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের ডেপুটি সিএনসি সহ মোট পাঁচ জনের একটি দল ডেজিগনেটেড ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে লাংটিং যায়৷ সেখান থেকে ছয় ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে এসে অত্যাচার চালায়৷ লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারপিট করে৷ এতেই দুই নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে এবং বাকি চার ব্যক্তি গুরুতর ভাবে আহত হয়৷ তাঁরা এখন হাফলং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ডিএনএলএ-র ক্যাম্পত্যাগী চার সদস্যও৷ জখমরা হলেন মন্দেশ লাংথাসা (৩৪), রমেশ হাগজার (৪২), রাজু আরদাও (১৮), অবিনাশ থাওসেন (১৮), নিরিংদাও বাটারি (১৯) জমুনাসিং হাসনু (২৬) জয়প্রজিত নুনিসা (২২) ও দেপোলাল ডিব্রাগেডে৷
ডিমাসাদের সর্বোচ্চ সংগঠন জাদিখে নাইশো হসম ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপের নিন্দা জানায়৷ নিরীহ গ্রামবাসীকে তুলে এনে এভাবে নৃশংস খুনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান৷ ডিএনএলএ যাতে গ্রাউন্ড রুল মেনে চলে তার জন্য সরকার, জেলাপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার দাবি জানান তাঁরা। লাংটিং থেকে ছয় নিরীহ গ্রামবাসীকে তুলে এনে অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে দুইজন হত্যার প্রতিবাদে লাংটিং এলাকার সাধারণ মানুষ মঙ্গলবার প্রতিবাদী মিছিল বের করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের উপযুক্ত সাজা প্রদানের দাবি জানান।