Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsCultureBreaking News

সম্প্রীতি : বাংলাদেশের কবি-লেখকদের ইলোরা-র সংবর্ধনা

ওয়েটুবরাক, ২৯ নভেম্বর : মণিপুরের হিংসার কারণটা বাংলাদেশের নাগরিকরা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন৷ কারণ রোহিঙ্গারা এখন সে দেশের মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছেন৷ মানবিক কারণে বিশাল পরিমাণ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল৷ এখন না তাদের রাখতে পারছেন, না তাড়াতে পারছেন৷ তাই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে মণিপুরের কড়াকড়িকে যথার্থ বলেই মনে করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক-প্রাবন্ধিক তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারভেনশনাল হেপাটলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল৷
সোমবার রাতে ‘ইলোরা’ পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তিন কবি-লেখক-সংগঠককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়৷ এই উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়৷ সেখানেই ভারতের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর সদস্য সচিব ডা. স্বপ্নিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল৷ নইলে আমাদের অবস্থা আজকের প্যালেস্তাইনের মতোই হতো৷  অথচ ভারত তখন আজকের মতো সমৃদ্ধ ছিল না৷
তাঁর কথায়, গণভোট, কাঁটাতারের দরুন আজ আমরা এপার-ওপারে বিভাজিত৷ কিন্তু নদীকে যেমন কোনও কিছুতে আটকানো যায় না, তেমনি বাঙালি চেতনাও নদীপ্রবাদের মতোই দুই পারে প্রবহমান৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের সদস্য ডা. স্বপ্নিল জানান, ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক বাংলাদেশই পাঠায়৷  বিশেষ করে স্বাস্থ্যজনিত কারণেই তাঁরা এ দেশে আসেন৷ তবে উল্টোটাও হতে পারে৷ লিভার ও স্টেম সেলের জটিল চিকিতসা বাংলাদেশে ভালো হয়৷ তাই আসামের রোগীরা কম সময়ে বাংলাদেশে যেতে পারেন৷
তাঁর বক্তব্য, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করে চলেছেন৷ তবে শুধু সরকারি পর্যায়ে নয়, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশের একাংশ মানুষের উল্লাসই যে  বাংলাদেশের পরিচয় নয়, সে কথার উল্লেখ করে ডা. স্বপ্নিল বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এখনও পাকিস্তান পন্থী৷ তারা যেমন আওয়ামি লিগ বিরোধী গোষ্ঠী, তেমনি ভারতবিদ্বেষী৷ তাই তাদের আচরণ দিয়ে সামগ্রিক বাংলাদেশকে বিচার করা যায় না৷
‘ইলোরা’ পরিবারের তরফে সমাজসেবী স্বর্ণালি চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে আগত ডা. মামুন আল মাহতাব, পুলককান্তি ধর ও হিল্লোল উদ্দিন
তিন কবি-লেখক-সংগঠককে উত্তরীয়, স্মারক, পুষ্পস্তবক ও উপহার সামগ্রীতে সংবর্ধিত করেন৷ তিনিও দুই দেশের মানুষের সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন৷ মঞ্চে আহ্বান করে একে একে সম্মান জানানো হয় কল্যাণ চক্রবর্তী, সাধন পুরকায়স্থ, ডা. বিজয়লক্ষী দাসচৌধুরী, ডা. সুব্রত নন্দী, ড. রাজীব দে, নিখিল পাল, ডা. এম শান্তিকুমার সিংহ ও হারাণ দেকে৷ তাঁরা এই ধরনের প্রয়াসের জন্য স্বর্ণালী চৌধুরীকে সাধুবাদ জানান৷ পাশাপাশি বরাক উপত্যকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান বাংলাদেশের কবি পুলককান্তি ধর৷
সঙ্গীত পরিবেশন করেন শর্মিষ্ঠা চাকী, শুভলক্ষী ভট্টাচার্য, নীলাঞ্জন পাল প্রমুখ৷ গান গেয়ে শোনান ত্রিপুরার শিল্পী শাশ্বতী দাসও৷ তবলায় ছিলেন স্বপন দেবনাথ৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker