Barak UpdatesHappeningsBreaking News

সফল অভিযান, পজিটিভের অন্ত্যেষ্টিতে নেতৃত্ব দিলেন বিধায়ক, জেলাশাসক

২৯ জুলাইঃ ‘করোনা মৃতদেহ থেকে ছড়ায় না, করোনা ছড়ায় মানুষের অসতর্কতায়।’ এই বার্তাকে সামনে রেখে উদাহরণ তৈরি করলেন শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল ও কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি। প্রতিবাদ-আপত্তি-ক্ষোভ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি তাঁরা। রাত সাড়ে আটটাটয় শিলচর শ্মশানঘাটে বাঁদিকের শেষমাথার চুল্লীতে তোলা হয় ৭৮ বছর বয়সী বিমল পালের মৃতদেহ। ত্রিস্তরীয় প্যাকিংয়ের মধ্যে রেখেই মুখাগ্নি করেন তাঁর দুই পুত্র। দুজনেরই পরনে ছিল পিপিই কিট। জেলাশাসক জল্লি বিক্ষোভরতদের জানান, মৃতদেহ থেকে করোনা সংক্রমণের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। তিনি সাধারণ মাস্ক পরেই শ্মশানে সারাক্ষণ উপস্থিত ছিলেন। বিধায়ক দিলীপকুমার পালেরও শুধুই মাস্ক। জল্লি বললেন, ‘আমাদেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে। করোনা সংক্রমিত করলে জেনেবুঝে আমরা এইভাবে থাকতাম না।’

বিধায়ক বলেন, ”আমি কি নিজের অনিষ্ট চাইব? এই পাড়াতেই তো রয়েছে আমার ভাইয়ের বাড়ি।” তাঁর কথায়, ” মৃতদেহ থেকে কোভিড ছড়ানোর বিন্দুমাত্র আশঙ্কা থাকলে আমি রাজি হতাম না। আমি যখন নিশ্চিত হয়েছি, মৃতদেহ তিনবার সিল করা হয়। আর শ্মশানের আগুনে সিলড বডিই জ্বালানো হয়, খোলার কোনও ব্যাপার নেই। তখনই আমি শিলচর শ্মশানে কোভিডে মৃতের দাহকার্যে সম্মত হই।”

দিলীপবাবু জোর দিয়ে বলেন, অগ্নিদেবতার কাছে যাওয়ার পর কোনও সংক্রমণ আর পড়ে থাকে না।  সব তিনি নিঃশেষ করে দেন।  কিন্তু মুশকিল হল, মানুষ সতর্ক নন। যারা আতঙ্ক ছড়ান, তারা নিজেরাই মাস্ক পরেন না, দূরত্ব মেনে চলেন না। শিলচরের বিধায়ক সকলের কাছে অনুরোধ করেন, ‘আতঙ্ক না ছড়িয়ে কোভিড বিধি মেনে চলুন।’

বিধায়ক-জেলাশাসকের এই ভূমিকার প্রশংসাও করছেন অনেকে।  কোভিডে আক্রান্ত কলেজ শিক্ষক দেবাশিস শর্মা মানুষের আপত্তির সমালোচনা করেন। ডা. রাজীব কর বলেন, ‘কোভিড মৃতদেহ থেকে ছড়ায় না। এটা বিজ্ঞান। যারা বিজ্ঞানের পক্ষে নয়, তাদের পাত্তা না দেওয়াই সরকার এবং প্রশাসনের কাজ। জেলা শাসক এবং বিধায়ক সঠিক কাজ করেছেন।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker