Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শ্রীভূমিতে বাংলায় একশোয় একশো চারজন

//উত্তমকুমার সাহা//
১১ এপ্রিলঃ মাধ্যমিকের এ বারের ফলাফলে শ্রীভূমির অবস্থান সবার নীচে হলেও বাংলায় একশোয় একশো পেয়েছে এই জেলার চারজন। অসমে মোট পাঁচজন এই বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। তাদের মধ্যে একমাত্র অঙ্কিতা দাস লামডিং রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী। বাকি চারজনই শ্রীভূমির। এরা হলো, বদরপুর পাবলিক হাই স্কুলের সামিয়া আক্তার, প্যারাগন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের আবু মোহাম্মদ ফুজাইল, পাথারকান্দি মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শর্মিলা সিনহা এবং গুলছড়া হাই স্কুলের বেগম সামিনা ফিরদৌসি।
শর্মিলা এখন একাদশ শ্রেণিতে কলা বিভাগে ভর্তি হবে, সামিয়া-ফুজাইল বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে আগ্রহী। সামিয়া আক্তারের বাবা নূর উদ্দিন বলেছেন, বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হলে ইংরেজিটা ভালো জানা প্রয়োজন। তাই মেয়ে একাদশে ভাষাশিক্ষায় বাংলার বদলে ইংরেজিই নেবে। ফুজাইলের বাবা বাহারুল ইসলাম ও মা মনোয়ারা বেগম সদিয়ালের আবার ভিন্ন ভাবনা। বললেন, খুব কষ্ট করে সে বাংলাটা পড়েছে। তাই বিজ্ঞান নিয়ে পড়লেও বাংলাটা থাকবে। স্কুলশিক্ষক তথা প্রাক্তন সাংবাদিক বাহারুল শোনান, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বলে ছোটবেলায় বাংলায় খুব কম নম্বর পেত সে। নবম শ্রেণিতে উঠে বুঝতে পেরেছে, ভালো ফল করতে হলে সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে হবে। তখন থেকে বাংলায় খুব জোর দেয়। এর দরুনই বাংলায় একশো এবং সব বিষয়ে লেটার সহ মোট ৫৬৫ পেয়েছে।
তবে বাংলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একেবারে কোনও সংশয় নেই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ছাত্রী শর্মিলার। সবকটি বিষয়ে লেটার সহ ৫৩৩ নম্বর পেলেও মিলন সিনহা-শান্তি সিনহার পাকা সিদ্ধান্ত, তাদের মেয়ে কলা বিভাগে ভর্তি হবে, বাংলাই পড়বে।
অন্যদিকে সাহাব উদ্দিন ও তাহেরা বেগমের কন্যা গুলছড়া হাই স্কুলের বেগম সামিনা ফিরদৌসির দুর্ভাগ্য বাংলায় একশো পেয়েও একাদশে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তার সর্বমোট নম্বর ৩৮৪। কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানের বর্ণনাত্মক অংশে ৪৫-এ মাত্র ২ পাওয়ায় তার মার্কশিটে ফাইনাল রেজাল্টের ঘরে লেখা রয়েছে ফেল।