Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরের কল্লোল পাল পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
ওয়েটুবরাক, ১৫ মেঃ ফেসবুকে তাঁর পরিচয় লেখা “যাদবপুরে কাজ করি। পড়াশোনা গুরুচরণ কলেজে। এর আগে পড়েছি অধরচাঁদ স্কুলে। এখন থাকি কলকাতায়।”
তিনি কল্লোল পাল। পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম স্থিত সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য। সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কলকাতার রাজভবনে ডেকে নিয়ে তাঁর হাতে নিযুক্তিপত্র তুলে দেন। মঙ্গলবারই উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। অঙ্কের অধ্যাপক কল্লোল পাল ২৭ বছর ধরে অধ্যাপনা করছেন। ১৯৯৭ সালে নিউ আলিপুর কলেজে শিক্ষকতার শুরু। ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে পড়ান। সে বছরই যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিল তাঁর স্নাতকোত্তর পাঠ। পিএইচডি-ও। ১৯৯০ সালে যেমন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি-তে সেরা স্নাতক হন, তেমনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন তিনি।
শিলচরে বিলপার পূর্ব পদ্মনগরে তাঁদের বাড়ি। মা ও তিন ভাই এই বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি ও তাঁর এক দাদা কলকাতায় থাকেন পেশাগত কারণে। তিনি ছিলেন যাদবপুরের অধ্যাপক, দাদা কমল পাল কস্ট অ্যাকাউন্টেন্ট। বিলপারের বাড়িতে আছেন কঙ্কন পাল, কল্যাণ পাল ও কুন্তল পাল। কল্লোলবাবু জানান, যৌথ পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। তাই জেঠতুতো দাদা হলেও ডা. দেবজ্যোতি পাল ও ডা. ধ্রুবজ্যোতি পাল পরিবারেরই সদস্য।
তাঁর বিভিন্ন রিসার্চ পেপার, নানা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার কথার মধ্যেই গর্বের সঙ্গে বললেন, “আমার পড়াশোনার শুরু নাজিরপট্টি মডেল এলপি স্কুলে। সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পর ভর্তি হই অধরচাঁদ স্কুলে। ওই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পাশ করি। পরে গুরুচরণ কলেজ৷ উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক কোর্স করি সেখানে।”
কল্লোলবাবুর কথায়, “উপাচার্য হওয়ায় মা খুব খুশি। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। বাবা বেঁচে থাকলে আরও আনন্দ হতো। কারণ তিনি নিজে ব্যবসায়ী হলেও আমাকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। পরে অবশ্য একের পর এক ভালো ফলাফলে খুশিই হয়েছিলেন।” কল্লোলবাবুর আক্ষেপ, “আমার উপাচার্য হওয়াটা বাবা দেখে যেতে পারলেন না।”