Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরকে স্মার্ট সিটি করার স্বপ্ন প্রকল্প অভিভাবক মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন তরুণ ইঞ্জিনিয়াররা
ওয়েটুবরাক, ৩০ অক্টোবর : বৃহত্তর শিলচরকে স্মার্ট সিটি করার স্বপ্ন নিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে বিস্তৃত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরি করেছে বরাক উপত্যকার একদল তরুণ ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট ও আরবান প্ল্যানার৷ তাঁরা গত শুক্রবার কাছাড়ের অভিভাবক মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়ার সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তা তুলে ধরেন৷ উপস্থিত ছিলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, বড়খলার বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্কর, লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই ও জেলাশাসক রোহনকুমার ঝা৷ ছিলেন সরকারি বিভিন্ন বিভাগের অফিসার ও আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা। বিস্তারিতভাবে তাদের ভাবনা তাদের স্বপ্ন, পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে উপস্থাপন করলেন।
তাঁরা জানান, স্মার্ট সিটির তিনটি মূল ভিত্তি হল রেট্রোফিটিং, রি-ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রিনফিল্ড ডেভেলপমেন্ট। এই তিনটি বিষয়কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলেন ইঞ্জিনিয়াররা। কীভাবে করা যাবে রেট্রোফিটিং, কীভাবে করা যাবে রি-ডেভেলপমেন্ট এবং কোন কোন জায়গায় করা যাবে গ্রিনফিল্ড ডেভেলপমেন্ট, বিস্তারিতভাবে রয়েছে তাঁদের প্রেজেন্টেশনে। তাঁরা জানান, স্মার্ট সিটি মিশন গাইডলাইন অনুসারে বৃহত্তর শিলচরে থাকতে হবে যথেষ্ট মানের সবুজায়ন। বর্তমান শিলচর অনেকটাই সেচুরেটেড, তাই প্রয়োজন যথেষ্ট বিস্তারের। সব সমস্যার পরিকল্পিত ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের এই প্রজেক্টে। পরিকল্পিত নগরায়ন সৃষ্টি করে স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ এই বিষয়কেও তুলে ধরেছেন তাঁদের প্রস্তাবনায়।
এই স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা প্রজেক্ট রিপোর্টটি সফট এবং হার্ড কপি হিসেবে আগেই জমা দেওয়া হয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, কাছাড়ের জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে।
তাঁরা আশা করেন, সরকার শিলচরকে রাজ্যের দ্বিতীয় স্মার্ট সিটি বানিয়ে তুলতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। থাউজেন্ড সায়ন্তন-এর পক্ষ থেকে অভিভাবক মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে, অচিরেই যেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজে এনজিওপ্লাস্টি অপারেশন পরিষেবার সুবিধা করা হয়। স্থায়ীভাবে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ও নিউরোসার্জন নিযুক্তি এবং ক্যাথল্যাব স্থাপনের জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান৷ সঙ্গে এও বলেন, এত কিছুর পরও যদি এনজিওপ্লাস্টির জন্য মানুষকে শিলচর ছেড়ে বাইরে ছুটতে হয়, তাহলে এত কিছুর পরও সুফল অধরাই থেকে যাবে৷