Barak UpdatesHappeningsBreaking News
লক্ষীপুরে পরীক্ষার হলে মোবাইল মিললেও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি
গণিরগ্রাম জেআর এইচ এস স্কুল কেন্দ্রের ইংরেজি পরীক্ষা বাতিল
ওয়েটুবরাক, ৬ মার্চ : কিছুদিন থেকেই কাছাড় জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়ছে৷ যেমন উচ্চ মাধ্যমিকে, তেমনি এখন মাধ্যমিক পরীক্ষার সব দিনই৷ সোমবারও বাতাস ভারি হয় একই কথায়৷ এক এক বার এক এক স্কুলের নাম প্রকাশ হতে থাকে৷ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছায়৷ এর পরই ছোটাছুটি শুরু হয় জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ অফিসার সহ বিভাগীয় কর্তাদের৷ তদন্তে নেমে জানা যায়, লক্ষীপুরের ইউনিয়ন হাই স্কুলে এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে৷ তখন সকাল ৯টা ২০ মিনিট৷ সে মোবাইলের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে উত্তর লিখছিল৷ এর আগেই প্রশ্নপত্র বেরিয়ে পড়েছে বলে মনে করা হলেও জেলাশাসক রোহনকুমার ঝা একে প্রশ্ন ফাঁস বলতে চান না৷ তাঁর কথায়, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন বেরিয়ে পড়লেই একে ফাঁস বলা হয়৷ তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো রিপোর্ট করবেন জানিয়ে বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ৷ ওই পরীক্ষার্থীকে এ বারের বাকি পরীক্ষাগুলির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেলাশাসক জানান৷
এ ছাড়া, প্রথম পরীক্ষার দিন থেকে গণিরগ্রামের জেআর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে গণটোকাটুকি চলছে৷ বৈদ্যুতিন ও সামাজিক মাধ্যমের সুবাদে নকল সরবরাহের জন্য হুড়োহুড়ির দৃশ্য ভাইরাল হলে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ সোমবার তাই পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়৷ হলে ঢোকার মুখে ব্যাপক তল্লাশি চলে৷ তাতে ধরা পড়ে অধিকাংশ পরীক্ষার্থী নকল নিয়ে এসেছে৷ কেউ হাতের লেখা, কেউ বইয়ের পাতা৷ শেষে নকল বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়৷ তবে পরীক্ষা শেষ হতেই এই কেন্দ্রের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত ইংরেজি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে৷ কম্পার্টমৈন্টাল পরীক্ষার সময় এই স্কুল কেন্দ্রের ৭৬০ পরীক্ষার্থীর সবাইকে ফের ইংরেজি পরীক্ষা ফের দিতে হবে ৷