NE UpdatesHappeningsBreaking News
রেগিং কাণ্ডে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ওয়ার্ডেনকে অব্যাহতি
ওয়েটুবরাক, ৩০ নভেম্বর : রেগিং মামলায় তিন ওয়ার্ডেনকে পুলিশ ডেকে নিয়ে জেরার পর তাদের ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জিতেন হাজরিকা৷ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র আনন্দ শর্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেগিঙের সময় অন্যরা তার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অঙ্কুর বরুয়াকেই নিয়ে দেয়৷ বরা বুধবারই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের ডাক পান৷
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাজরিকা আগাম জানিয়ে রাখেন, বরার জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাঁর সাধারণ সম্পাদক পদ কেড়ে নেওয়া হবে৷ আনন্দ শর্মার রেগিঙের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি৷
পুলিশও এই মামলা নিয়ে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে৷ পুলিশ সুপার শ্বেতাঙ্ক মিশ্র জানান, তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ মঙ্গলবার রাতে ধরা হয়েছে শুভ্রজিৎ নামে এক ছাত্রকে৷ তাকে টিংখঙে যে আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেই ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ তবে মূল অভিযুক্ত রাহুল ছেত্রিকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি৷
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ধরে আনার জন্য পুলিশের চারটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে৷ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করা হচ্ছে৷ কাজে লাগানো হচ্ছে সমস্ত সূত্রকে৷ রাহুলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারলে তাকে জানাতে সকলের প্রতি অনুরোধ করেছেন পুলিশ সুপার মিশ্র৷ তাঁর ঘনিষ্ঠদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধ করেন, রাহুলকে আত্মসমর্পণ করান৷
উপাচার্য ড. হাজরিকা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনন্দকে দিল্লি উড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও চিকিৎসকরা জানান, এখন তাকে বার করাটাই দুষ্কর হবে৷ প্রচণ্ড ঝুঁকিরও৷ তাই আনন্দের পরিবারের সদস্যরা ডিব্রুগড়েই বৃহস্পতিবারের অপারেশনটি সেরে নিতে চাইছে৷
এ দিকে, আরও দুই ছাত্র রেগিঙের শিকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে বলে যে কথা শোনা যাচ্ছে, তার সত্যতা যাচাই করবেন বলে জানান উপাচার্য৷ তিনি বলেন, সঠিক হলে তিনি তাঁদের ঘুরিয়ে আনবেন৷ নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন৷