NE UpdatesHappeningsBreaking News
রেগিং কাণ্ডে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও তদন্তের আওতায় আনতে পুলিশকে হিমন্তের নির্দেশ
ওয়েটুবরাক, ৩০ নভেম্বর: ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগিং কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও তদন্তের আওতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ওই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেগিংয়ের বলি হয়ে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়েছিল ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনন্দ শর্মা৷ তিনি এখন আইসিইউতে ভর্তি৷ তাঁর পরিবার জানিয়েছে, আনন্দের উপরে নাগাড়ে অত্যাচার চালানো হচ্ছিল৷ সেই কথা ও অত্যাচারী ছাত্রদের নাম তিনি লিখে জানিয়েছিলেন হোস্টেল ওয়ার্ডেনের কাছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে সে কথা জানার পরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। ঘটনার মূল মাথা, প্রাক্তন ছাত্র রাহুল ছেত্রীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ২১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১৮ জনকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার শিলচরে ক্যাবিনেট বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ছাত্রের লাফিয়ে পড়ার প্রসঙ্গটি ওঠে। রেগিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর হন মন্ত্রীদের সবাই। এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রেগিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ব্যর্থ। সেপ্টেম্বরে অভিযোগ পেযেও তাঁরা এতদিনে কেন কিছুই করতে পারলেন না, পুলিশ তাও খতিয়ে দেখবে। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অভিযু্ক্তদের কয়েকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাঁদের শীঘ্র গ্রেফতার করা হবে।
আনন্দ আইসিইউ থেকে ভিডিয়ো বার্তায় বললেন, “তারা যা করেছে তার ফল পাবেই। আমি তাদের কখনও ক্ষমা করব না। কিন্তু আমার জন্য কারও শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হোক, তা চাই না।” আনন্দকে দেখতে মঙ্গলবার ডিব্রুগড়ের হাসপাতালে আসেন অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিণজ্যোতি গগৈ। বিপিএফ বিধায়ক রবিরাম নার্জারি, ইউপিপিএল বিধায়ক লরেন্স ইসলারিরা সব কলেজ থেকে এই রেগিং সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন।
এ দিকে, ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে অসম মেডিক্যাল কলেজেও রেগিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অস্থিরোগ বিভাগের দুই ছাত্রকে হোস্টেল ও মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।