NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
রাজ্যের সরকারি স্কুলে ফাইন আর্টস শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাল বরাকের ৩ সংগঠন
ওয়েটুবরাক, ২ ডিসেম্বর : পাঠ্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েও রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আজও অবহেলিত ফাইন্ আর্টস বিষয়টি । তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযুক্ত মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সব স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ফাইন আর্টস শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানালো বরাকের তিনটি সংগঠন। বরাক ভাস্কর সংস্থা ‘রূপকার’, শিলচরের বেসরকারি শিল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘শিল্পাঙ্গন’ এবং বাংলা সাহিত্য সভা, অসম’র শিলচর সমিতির প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার শিলচরে শিক্ষামন্ত্রী ডা: রণোজ পেগুর সঙ্গে দেখা করে নির্দিষ্ট দাবিতে পৃথক পৃথকভাবে স্মারকপত্র পেশ করেছেন।
প্রতিনিধিরা শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, একথা আজ বিশ্বভর সুপ্রতিষ্ঠিত যে ড্রয়িং বা ফাইন আর্টস এখন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ছাত্রদের মানসিক এবং সৃজনশীলতার বিকাশে ড্রয়িং এর বিকল্প নেই । এমনকি ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং শাস্ত্রেও ড্রয়িং-এর দক্ষতা অত্যন্ত আবশ্যক বিষয়। এই সত্যটা উপলব্ধি করে আজকাল অসমের সব বেসরকারি স্কুলেই শিল্প শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোতে আজও এমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি । মাধ্যমিকে কিছু কিছু স্কুলে ফাইন আর্টস ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা আছে কিন্তু কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। তাই ফাইন আর্টস -এর কোনও ক্লাস হয় না। স্বাভাবিকভাবে ছাত্রদের এ নিয়ে আগ্রহও থাকে না। ২০১৩ সালে সর্বশিক্ষা অভিযানের আওতায় আর্ট এডুকেশনের জন্য চুক্তিভিত্তিক শতাধিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে তা আর কার্যকর হতে শোনা যায়নি । অথচ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্য কলা বিভাগ, গুয়াহাটি গভর্মেন্ট কলেজ অফ আর্ট এন্ড ক্রাফট, কোকরাঝাড় আর্ট কলেজ, রয়েল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্ট সহ রাজ্যের বহু শিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর আর্টের ডিগ্রী নিয়ে অগুনতি ছাত্ররা বেরোচ্ছেন, পিএইচডি ডিগ্রিও নিচ্ছেন কিন্তু তাদের বেশীরভাগেরই এখানে চাকরি জুটে না । ছুটে যেতে হয় অসমের বাইরে ।
তাই সরকারের কাছে আবেদন প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ স্তরেও ফাইন আর্টস আবশ্যক বিষয় হিসেবে রেখে উপযুক্ত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার বন্দোবস্ত যেন করা হয় । এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন শতশত শিল্পের ডিগ্রিধারী বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, অন্যদিকে চারুকলায় উন্নত শিক্ষার সুযোগ পাবে ছাত্রছাত্রীরা । শিল্পকে ক্যারিয়ার হিসেবে আগামীতে বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম । তাছাড়া বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার যেখানে বারবার বৃত্তিমুখী শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে সেখানে অসমে ফাইন আর্টস একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে জানান প্রতিনিধিরা। অবশ্য বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: রণোজ পেগু। এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডঃ বিনয় পাল, সন্দীপন দত্তপুরকায়স্থ সহ বিশিষ্টরা ।