India & World UpdatesHappeningsBreaking News
যোগাযোগ ও যাতায়াতে গুরুত্ব দিয়ে শেষ হল শিলচর-সিলেট উৎসব
ওয়েটুবরাক, ৯ অক্টোবর : বাংলাদেশের সিলেট ডিভিশন ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে অধিকতর যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার যৌথ অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ এবং শিলচর-সিলেট মৈত্রী উৎসব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গুয়াহাটি-সিলেট-ঢাকা বিমান চলাচলের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, গুয়াহাটি-সিলেট-ঢাকা বিমান হলে অর্থনৈতিকভাবে উভয় রাষ্ট্র লাভবান হবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বিষয়টিকে বিবেচনাধীন রেখেছে৷
ভারতের রাজ্য পররাষ্ট্র ও শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালী অধ্যায় চলছে। ভারত একা নয়, সামাজিক-অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সঙ্গে এগোতে চায়।
সুতারকান্দি দিয়ে দুই দেশের যে ব্যবসা হচ্ছে, তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারেও চর্চা হয় বৈঠকে। সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন বলে উত্তর-পূর্ব ভারতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা কমেছে। বাংলাদেশের অনেকে যেমন পর্যটক হিসেবে ভারতে যাচ্ছেন তেমনি বহু মানুষ চিকিৎসার জন্যও ভারত ভ্রমণ করছেন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশ উপকৃত হচ্ছে৷ বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করছেন এবং ভারত এ থেকে উপার্জন করছে৷
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিভিন্ন পর্বে সবাই স্বীকার করেন, শিলচর-সিলেট উৎসবের মাধ্যমে উভয় দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সূত্র ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও বাড়বে।
উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে গড়ে তোলা হাইটেক পার্কে ভারতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিল ইকোনমিক জোনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. রাধা তমাল গোস্বামী বলেন, এই ফেস্টিভ্যাল দুই দেশের অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত ফ্রেন্ডসশিপ ডায়ালগের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের প্রাক্তন মন্ত্রী এম জে আকবর ও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।