India & World Updates
মোদির সেনা? আদিত্যনাথকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেনন, “কংগ্রেস জঙ্গিদের বিরিয়ানি পরিবেশন করে, সেখানে ‘মোদিজির সেনা’ জঙ্গিদের দিকে বুলেট আর বোমা ছোড়ে। কংগ্রেস আর মোদিজির মধ্যে ফারাক এটাই।’’
যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্যের পরই ঝড় ওঠে। কংগ্রেস অভিযোগ করে, আদিত্যনাথ আসলে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের অপমান করেছেন। যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির কড়া সমালোচনা করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “সেনা কারও ব্যক্তিগত হতে পারে না, সেনা আসলে সবার।” বিজেপি শিবিরের মধ্যেও সমালোচিত হয়েছিলেন যোগী। বিজেপি নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ-ও আদিত্যনাথের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘সেনা কারও ব্যক্তিগত হতে পারে না’।
বিষয়টি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান এল রামদাস। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘‘ভারতীয় সেনা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। তাঁরা গোটা দেশকে সেবা করেন।’’ ভারতীয় সেনাকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করার জন্য নাম না করে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পনাগ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বেশ কিছু দিন ধরেই জাতীয়তাবোধ এবং ভারতীয় সেনাকে এক করে ফেলার একটা চেষ্টা চলছে। এর ফলে ভারতীয় সেনার রাজনীতিকরণের মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের বুঝতে হবে জাতীয় সেনা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বিষয়।’’
আদিত্যনাথের মন্তব্য নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশনও। গাজিয়াবাদের জেলাশাসকের কাছ থেকে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ চেয়ে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আদিত্যনাথের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।
নির্বাচন কমিশন এ বার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, যেহেতু ভারতীয় সেনা অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ, তাই নির্বাচনী জনসভায় ভারতীয় সেনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।