Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মৃত ব্যক্তির নামে ট্রাইবুনালের নোটিশ!
ওয়েটুবরাক, ২৩ মার্চ : মৃত ব্যক্তির নামে নোটিশ পাঠাল ফরেনার্স ট্রাইবুনাল! আগামী ৩০ মার্চ তাঁকে শিলচরের তিন নম্বর ট্রাইবুনালের সদস্য তথা বিচারকের সামনে উপস্থিত হতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ উধারবন্দের প্রয়াত শ্যামাচরণ দাসের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য জানিয়ে দেন, তাঁরা প্রয়াতের প্রতিনিধি হিসাবে এই মামলা লড়বেন৷ সন্দেহভাজন নাগরিক বলে আর কত যন্ত্রণা তাদের দেওয়া যেতে পারে, তাঁরাও দেখতে চান৷
শ্যামাচরণ দাসের কন্যা বেবি দাস জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁর পিতা যে মারা গিয়েছেন, ফরেনার্স ট্রাইবুনাল সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছে৷ কারণ ওই একই ট্রাইবুনালে আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল৷ ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও সন্দেহভাজন ভোটার হিসাবেই তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হয়৷ প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত গোটা পরিবার৷ তাঁর মা সুলেখা দাসকেও ট্রাইবুনাল একতরফা রায়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠায়৷
শ্যামাচরণের মৃত্যুর পরই অবশ্য ট্রাইবুনাল মামলাটি খারিজ করে দেয়৷ তখনকার বিচারক রায় দিয়েছিলেন, অভিযুক্তের মৃত্যুর দরুন এই মামলা বন্ধ করা হল৷ ছয় বছর পর ওই একই ট্রাইবুনালের বর্তমান সদস্য শ্যামাচরণের বাড়িতে নোটিশ পাঠাল৷ আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ট্রাইবুনালে গিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে৷
নোটিশ দেখেই পত্নী সুলেখা দাস বলতে থাকেন, আর কত? আর কত? বড় অসহায় লাগে তাঁর৷ তাঁকেও যে একতরফা রায়ে ট্রাইবুনাল বিদেশি বলে ঘোষণা করেছিল, এর উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ একদিন বাড়ি থেকে তাকে তুলে এনে শিলচর সেন্ট্রাল জেলে পুরে দেয়৷ করোনার দরুন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেড় বছর ধরে জামিনে মুক্ত রয়েছেন৷
তাঁর কন্যা বেবি দাস বললেন, শ্যামাচরণ ও সুলেখা দুইজনেরই ভারতীয় নাগরিকত্বের পর্যাপ্ত নথি রয়েছে৷ ১৯৬৫ ও ১৯৭০ সালের ভোটার তাঁরা৷ কিন্তু সে সব দেখানোর সুযোগই মেলেনি৷ মানবাধিকার কর্মী কমল চক্রবর্তী এ সবের জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেন৷ বলেন, ট্রাইবুনালে রিপোর্ট পাঠানোর আগে অভিযুক্তদের নথিপত্র দেখতে চাওয়ার কথা পুলিশের৷ পুলিশ যে কোনও নথি না দেখেই রিপোর্ট করে, মৃতের নামে নোটিশেই তা প্রমাণিত৷